বিজেপি সরকারের পুলিশ গুলি করে মেরেছে কৃষকদের। রাহুল গাঁধী গত কাল থেকেই যেতে চাইছেন মধ্যপ্রদেশের মন্দসৌরে। কিন্তু শিবরাজ সিংহ চৌহানের সরকার অনুমতি দেয়নি। জেডি(ইউ) নেতা শরদ যাদব আজ কংগ্রেস সহ-সভাপতির সঙ্গে দেখা করে জানান, বিরোধীরা একজোট হয়ে কৃষকদের পাশে দাঁড়াবে। পরে সন্ধেতেই রাহুল টুইট করে জানিয়ে দেন, ‘‘পুলিশের গুলিতে গত কাল যে কৃষকেরা মারা গিয়েছেন, আগামী কাল মন্দসৌরে তাঁদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করব।’’ গত কালই রাহুল মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘বিজেপির নতুন ভারতে হক চেয়ে আমাদের অন্নদাতারা পাচ্ছেন গুলি।’’
বছর কুড়ি আগে, মধ্যপ্রদেশেই পুলিশের গুলিতে মারা গিয়েছিলেন ১৮ জন কৃষক। মুলতাই তহসিলের সেই ঘটনায় কাঠগড়ায় ছিল কংগ্রেস। দিগ্বিজয় সিংহ তখন মুখ্যমন্ত্রী। ক্ষমতার পাশা বদলে গিয়ে কংগ্রেস আজ সরব বিজেপির বিরুদ্ধে। তাদের বক্তব্য, ভোটের আগে ইস্তাহারে কৃষকদের ন্যূনতম সমর্থন মূল্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল বিজেপি। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে তার উলটপুরাণ গেয়ে এসেছে। মোদীর জমানায় ফি-দিন গড়ে ৩৫ জন কৃষক আত্মহত্যা করছেন। তাঁর কৃষক-দরদ যে আসলে আর একটি প্রচারের হাতিয়ার, সেটি এখন স্পষ্ট। গত ২৪ ঘণ্টায় তিনি শুধু যোগাসন (উত্থান-মন্দুকাসন) আর কাজাখস্তানে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠক যোগ দেওয়া নিয়ে টুইট করেছেন। বিজেপিকে বিঁধে তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েনের টুইট, ‘‘তাদের সরকার যখন কৃষকদের গুলি করছে, ঘটনার বিবরণই পাল্টে দিতে মরিয়া চেষ্টা করছে, বিজেপি তখন অন্য দিকে নজর ঘোরাতে ব্যস্ত।’’
অস্বস্তি ঢাকতে গ্রামীণ উন্নয়ন মন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর এ দিন বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী মোদী ও মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান কৃষকদের প্রতি সংবেদনশীল। রাহুল গাঁধীরা আসলে ‘দুর্ঘটনা-পর্যটক’। তাঁরা ছবি তোলার রাজনীতির জন্য দুর্ঘটনার অপেক্ষা করেন।’’ আগামী বছরেই ভোট মধ্যপ্রদেশে। তার আগে কংগ্রেসই এই অশান্তি পাকাচ্ছে বলে অভিযোগ শিবরাজের। যদিও আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব যে তাঁরই এবং সেই কাজে তিনি যে ব্যর্থ, সেই প্রসঙ্গ এড়াতেই চাইছে বিজেপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy