ফাইল ছবি।
কোনও সভ্য সমাজ জীবন বিপন্ন করে আইন ভাঙায় উৎসাহ দেয়! ১০ মিনিটে ডেলিভারি নিয়ে সরব তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। আসন্ন বাদল অধিবেশনে সংসদে বিষয়টি তুলবেন বলেও জানিয়েছেন।
ইদানীং অনলাইনে খাবার বা অন্য কোনও পণ্যের বরাত দেওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে তা আপনার হাতে তুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিজ্ঞাপনে ছেয়ে গিয়েছে এলাকা। এ বার তার বিরুদ্ধেই সরব হলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ। টুইটে প্রশ্ন তুললেন, একটি সামান্য পিৎজার জন্য কোনও সভ্য সমাজ আইন ভাঙায় এবং নিজের প্রাণ বিপন্ন করতে উৎসাহ দিতে পারে কি? সংসদের আসন্ন বাদল অধিবেশনে বিষয়টি তুলবেন বলেও জানিয়েছেন মহুয়া।
10 minute deliveries need to be regulated/outlawed.
— Mahua Moitra (@MahuaMoitra) May 29, 2022
No civilised society can be incentivising delivery executives to break traffic rules & put own & other’s lives at risk. All for a quicker pizza.
Am going to raise this in parliament.
প্রসঙ্গত, নেটমাধ্যমে বরাত নিয়ে রেস্তোরাঁ থেকে ঘরে খাবার সরবরাহকারী একটি সংস্থা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, তারা বরাত দেওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে আপনার হাতে গরম গরম খাবার পৌঁছে দেবে। অনেকটা একই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে মুদিখানার দ্রব্য সরবরাহকারী একটি অনলাইন সংস্থাও। কিন্তু মহুয়ার প্রশ্ন, এর ফলে যে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন, তাঁকে ট্রাফিক আইন ভাঙায় উৎসাহ প্রদান করা হচ্ছে এবং প্রতিশ্রুতি পূরণের তাগিদে তিনি নিজের এবং অন্যদের জীবন বিপন্ন করে দ্রুত পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন। কোনও সভ্য সমাজ এতে উৎসাহ দেয়! প্রশ্ন বিস্মিত মহুয়ার। তাঁর দাবি, ১০ মিনিটের ডেলিভারির প্রতিশ্রুতিকে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত কিংবা বাতিল করে দেওয়া দরকার।
যদিও সমালোচনা শুরু হওয়ার পর নেটমাধ্যমে বরাত নিয়ে রেস্তোরাঁ থেকে ঘরে খাবার সরবরাহকারী একটি সংস্থার তরফে জানানো হয়, এই সুবিধা কেবলমাত্র নির্দিষ্ট কয়েকটি জায়গায় এবং নির্দিষ্ট কয়েকটি সহজলভ্য খাবারের উপরেই প্রযোজ্য। এবং খাবার পৌঁছতে ১০ মিনিট পেরিয়ে গেলেও সরবরাহকারীর কোনও রকম জরিমানা বা শাস্তি হবে না। তেমনই ১০ মিনিটে খাবার পৌঁছলেও পাবেন না কোনও উৎসাহভাতা।
সংস্থা যে যুক্তিই দিক না কেন, লাভের আশায় সরবরাহকারীকে বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলে মনে করেন অনেকেই। এ বার তাতে সুর মেলালেন সাংসদ মহুয়াও। সংসদে তোলার পর কি এই আপাত বিপজ্জনক প্রবণতায় রাশ পড়বে? প্রশ্ন এখন সেটাই।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy