ফাইল চিত্র।
বিজেপি’র সঙ্গ আজ ছাড়লেন নীতীশ কুমার। কিন্তু এক সপ্তাহ আগেই রাজ্যসভায় সেই ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল বলে দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের।
জেডি(ইউ) সাংসদ রামনাথ ঠাকুর গত ২ অগস্ট সংসদের বাদল অধিবশনে যখন মূল্যবৃদ্ধির প্রশ্নে কেন্দ্রকে তুলোধোনা করছিলেন, তখন তাঁকে টেবিল চাপড়ে সমর্থন করেন বিভিন্ন বিরোধী দলের সাংসদরা। রাজনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, পরে রামনাথের সঙ্গে কংগ্রেসের পাশাপাশি তৃণমূলের সাংসদরাও বিহারের সম্ভাব্য রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। তখনই নাকি তাদের কাছে অনেকটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি-র হাত ছাড়তে চলেছেন। ঘটনাটি সময়ের অপেক্ষামাত্র।
তৃণমূল সূত্রের দাবি, বিহারের রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা রয়েছে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের সঙ্গে মমতার সম্পর্ক সুমধুর। নীতীশ কুমারের সঙ্গেও দীর্ঘ দিনের যোগাযোগ তৃণমূল নেত্রীর। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিভিন্ন মাধ্যমে জেডি(ইউ) নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলেই জানাচ্ছে তৃণমূল সূত্র।
প্রশ্ন হল, বিহারে তৃণমূলের কোনও অস্তিত্ব নেই। এমনটা নয় সেখানে ভবিষ্যতেও কোনও জোটের সম্ভাবনা রয়েছে। তা হলে সেখানকার বর্তমান ঘটনাপ্রবাহের সঙ্গে কেন সংযুক্ত হতে চাইছেন তৃণমূল নেতৃত্ব? দলের ব্যাখ্যা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেছেন যে রাজ্যে যে দল বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াই দিতে পারবে, তাকে সমর্থন করতে হবে। চব্বিশের লোকসভা ভোটের পর সব বিরোধী দল এক জায়গায় আসবে, এই প্রত্যয় তাঁর রয়েছে। তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতার কথায়, “নেত্রী বলেছেন তিনি সেতুবন্ধনে কাঠবিড়ালির ভূমিকা পালন করতে আগ্রহী। সেটা করতেই তিনি রাষ্ট্রপতি ভোটের প্রার্থী বাছাই করতে দিল্লি দৌড়ে এসেছিলেন।” বিহারে যদি বিজেপি-কে একলা করে দেওয়া যায়, তা হলে লোকসভায় চল্লিশটির মধ্যে তিরিশটি আসন সে রাজ্যের বিরোধী জোটের ঘরে আসবে। তৃণমূলের বক্তব্য, মহারাষ্ট্রের পর বিরোধী শিবিরে যে ধাক্কা লেগেছিল, বিহারের রাজনৈতিক ঘটনাক্রম তা অনেকটাই চাঙ্গা করতে সক্ষম।
তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছেন, পশ্চিমবঙ্গের পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘটনার পর মমতার দিল্লি আসা এবং উপরাষ্ট্রপতি পদে ভোটদানে বিরত থেকে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক, বিরোধী রাজনীতিতে তাঁর ভূমিকা নিয়ে সংশয় তৈরি করেছে। ওই মহল এ-ও মনে করছেন, যেহেতু তাঁর বিরুদ্ধে বাম এবং কংগ্রেসের একটি অংশ ‘সেটিং’-এর অভিযোগ আনছেন, তাই খুব দ্রুত ভারসাম্য রক্ষার্থে বার্তা দিতে হবে তৃণমূল নেতৃত্বকে। এই মুহূর্তে বিরোধী রাজনীতিতে সবচেয়ে আলোচিত মঞ্চ বিহার। তাই চব্বিশের লোকসভার আগে সে রাজ্যের বিজেপি-বিরোধী উদ্যোগকে ছুঁতে চায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy