বিকাশ বরালা ও বর্ণিকা কুণ্ডু। ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে।
রেকর্ড থেকে হঠাৎই উধাও শুক্রবার রাতের ঘটনাবলী। আমলার মেয়ের গাড়িকে ধাওয়া করে যে রাস্তাগুলি দিয়ে ছুটেছিল বিকাশ বরালার গাড়ি, আশ্চর্যজনক ভাবে উধাও সেই সেই এলাকাক সিসিটিভি ফুটেজগুলিই। ওই ঘটনার সাক্ষী থাকা মোট পাঁচটি রাস্তার ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে সোমবার জানাল চণ্ডীগড় পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজের মতো একটি অন্যতম বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ এ ভাবে উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনাকে কিন্তু নিছকই দুর্ঘটনা? তা হলে কী উদ্দ্যেশপ্রণোদিত ভাবেই ঘটানো হয়েছে এমন ঘটনা? প্রশ্নগুলো উঠছে।
আরও পড়ুন: সেই রাতে ধর্ষিতা বা খুন হইনি, ভাগ্য ভাল
অন্য দিকে, গোটা ঘটনার জন্যই ওই যুবতীকেই কাঠগোড়ায় দাঁড় করিয়েছেন রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি রামবীর ভাটি। রাত বারোটার পর মেয়েদের বাড়ির বাইরে থাকা উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন ভাটি। শুধু তাই নয়, ভাটির মতে অত রাতে কোনও মেয়েরই ড্রাইভ করা উচিত নয়। নিজেদের খেয়াল নিজেরই নেওয়া উচিত বলেও উপদেশ দেন রামবীর।
চণ্ডীগড়ের বিজেপি সাংসদ-অভিনেত্রী কিরণ খের অবশ্য বলেছেন, ‘‘ঘটনাকে কোনও ভাবেই লঘু করা হচ্ছে না। আমি নিশ্চিত, ওই রাতের সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশের কাছেই আছে এবং সেই মতোই পুলিশ এর ব্যবস্থা নেবে।’’
আরও পড়ুন: বিদেশ থেকে ফিরে এসে ছেলে দেখল ঘরে মায়ের কঙ্কাল
শুক্রবার রাতের ওই ঘটনার পর থেকে বার বারই উঠেছে এই ধরনের প্রশ্ন। চণ্ডীগড়ের আইএএস অফিসার বীরেন্দ্র কুণ্ডুর মেয়ে বর্ণিকা কুণ্ডুকে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে ধাওয়া করা, উত্যক্ত করা ও কটূক্তির অভিযোগ ওঠে হরিয়ানার রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুভাষ বরালার ছেলে বিকাশ এবং তাঁর বন্ধু আশিস কুমারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ পেয়ে প্রথমে গ্রেফতার করা হয় ওই দুই যুবককে।
আরও পড়ুন: সক্রিয় দাউদ, মানছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা
কিন্তু গ্রেফতারির কিছু ক্ষণের মধ্যেই জামিনে মুক্তি পান তাঁরা। সেখানেও উঠেছিল প্রভাবশালী তত্ত্ব। বিরোধীদের তোপের মুখে পড়তে হয় হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির মনোহরলাল খট্টরকেও। প্রশ্ন উঠেছিল বিকাশ-আশিসের বিরুদ্ধে অপহরণের ধারা আনা হল না কেন? কেনই বা এত দ্রুত জামিনে মুক্তি পেল তাঁরা? প্রধানমন্ত্রী বা বিজেপি সভাপতিও কেন এ নিয়ে মুখ খুলছেন না সে বিষয়েও উঠেছিল প্রশ্ন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy