ক্যানসার চিনে নিন। ছবি: সংগৃহীত।
‘ক্যানসার’ শব্দটি শুনলেই গলার কাছে দলা পাকিয়ে আসে আতঙ্ক। কেউ ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন শুনলেই ভয়ে কেঁপে ওঠে বুক। এমন অন্ধকার যদি নিজের পরিবারে নেমে আসে, তা হলে কী ভাবে সামাল দেবেন— এমন নানা ভাবনা বাসা বাঁধে মনে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র তথ্য জানাচ্ছে, বিশ্ব জুড়ে মৃত্যুর দ্বিতীয় কারণ এই রোগ। ক্যানসার নিয়ে সচেতনতা বাড়লেও এই রোগের উপসর্গ সম্পর্কে এখনও সম্যক ধারণা সাধারণ মানুষের মধ্যে কম। আর ক্যানসার যদি বিরল হয়, তখন অনেক দিন পর্যন্ত বোঝা যায় না উপসর্গগুলির গুরুত্ব। তাতেই পেরিয়ে যায় সময়। শরীরে ছড়িয়ে পড়তে থাকে এই রোগ। তখন আর সুস্থ হয়ে ওঠার সুযোগ থাকে না।
তবে সব সময় মনে রাখতে হবে, উপসর্গ আছে মানেই তা ক্যানসারের না-ও হতে পারে। সেটি অন্য কোনও রোগেরও লক্ষণ হতে পারে। ক্যানসারের নানা ভাগ। নিউ ইয়র্কের ‘ক্যানসার রিসার্চ ইনস্টিটিউট’-এর ২০১৪-র একটি গবেষণা ৩ ধরনের ক্যানসারের উপসর্গের বিষয়ে জানিয়েছে। এই উপসর্গগুলি থাকলে পরীক্ষানিরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই করিয়ে নেওয়া শ্রেয় যে, আদৌ ক্যানসারের সম্ভাবনা আছে কি না।
থাইরয়েড ক্যানসার
চোখ ঠেলে বেরিয়ে আসা, বুক ধড়ফড় করা, ওজন অনেকটা কমে যাওয়া থাইরয়েড গ্রন্থিতে ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। ঘন ঘন বমি হওয়া, মাঝেমাঝেই সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলার মতো সমস্যায় ভোগেন রোগী। এ ক্ষেত্রে ঘাড়ের কাছে শক্ত মাংসপিণ্ডের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।
রক্তের ক্যানসার
এই ক্যানসারেরও প্রাথমিক পর্যায়ে কোনও লক্ষণ থাকে না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমতে থাকা, বার বার জ্বর, সংক্রমণ, শরীর জুড়ে কালশিটে পড়া— এগুলি রক্তের ক্যানসারের লক্ষণ।
মস্তিষ্কের ক্যানসার
মাথাব্যথা, সকালে বমি হওয়া, দৃষ্টিশক্তির সমস্যা, চোখ ট্যারা হয়ে যাওয়া, কানে সর্ব ক্ষণ ভোঁ ভোঁ আওয়াজ হওয়া— মস্তিষ্কের ক্যানসারের প্রধান লক্ষণ। আরও গুরুতর সমস্যা হলে অঙ্গ বিকলও হয়ে যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy