সাংবাদিক বৈঠকে হার্দিক। বুধবার অমদাবাদে। ছবি: পিটিআই।
জোট গড়তে সংরক্ষণ নিয়ে দর কষাকষি চলছিলই। জোট হতেই উঠে এল ধোঁকা দেওয়ার অভিযোগ! গুজরাতে যার ভিত্তিতে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেছেন হার্দিক পটেল, বাস্তবে তা সম্ভবই নয় বলে আজ দাবি করল বিজেপি। তা হল, বর্তমান কাঠামোয় পাতিদারদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা। বিজেপির বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টের রায়ই বলছে ৫০%-এর বেশি সংরক্ষণ সম্ভব নয়। এর আগে রাজস্থানেও এমন প্রস্তাব খারিজ হয়ে গিয়েছে। দিল্লিতে অরুণ জেটলির মন্তব্য, ‘‘সমঝোতার নামে শুধু যে একে অন্যকে যে বোকা বানাচ্ছে তা-ই নয়, ধোঁকা দেওয়া হচ্ছে ভোটারদেরও।’’ হার্দিকের যদিও দাবি, সংবিধানে কোথাও ৫০% পর্যন্ত সংরক্ষণের কথা লেখা নেই। সেটি সুপ্রিম কোর্টের প্রস্তাব।
কংগ্রেসের যে নেতা সংরক্ষণ নিয়ে এই ক’দিন হার্দিকের সঙ্গে আলোচনা চালিয়েছেন, সেই কপিল সিব্বলের নজর এখন ভোটে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘সব কিছু ভেবেই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ঠিক সময়েই সব পরিষ্কার হয়ে হবে। এখন লড়াই হোক।’’ কংগ্রেসের মতে, তামিলনাড়ুতেই প্রায় ৭০ শতাংশের মতো সংরক্ষণ রয়েছে। কিন্তু এখন আসল লড়াইটি রাজনৈতিক। ক্ষমতায় এলে সংরক্ষণের বিষয়টি দেখা যাবে।
সংরক্ষণের প্রশ্নটিকে সামনে রাখলেও কংগ্রেস-হার্দিক ও বিজেপি, সব পক্ষের কাছেই মূল লড়াইটা ভোট-রাজনীতির। যে কারণে রাহুলের সঙ্গে হার্দিকের ‘গোপন’ বৈঠকের পর থেকেই বিজেপি এই সমঝোতা ভাঙার আপ্রাণ চেষ্টা করে আসছিল। কারণ, হার্দিকের সমর্থক, তরুণ পাতিদারদের ভোট কংগ্রেসে গেলে বিপদ বিজেপির। তাই হার্দিকের দল থেকেও অনেককে ভাঙানো হয়েছে। হার্দিকের ‘যৌন-সিডি’ও বাজারে এসেছে। এত কিছুর পরেও কংগ্রেস-হার্দিক জোট হওয়ায় চাপে পড়ল বিজেপি। ঘর সামলে নিয়ে হার্দিক আজ ঘোষণা করেন, দলে তিনিই শেষ কথা। তাঁকে দুর্বল করতে কোর কমিটির অনেককে ভাঙাচ্ছে বিজেপি। প্রত্যেককে ৫০ লক্ষ টাকার লোভ দেখানো হচ্ছে। সেই কমিটি পুরো ভেঙে নতুন করে দল গড়ছেন হার্দিক। এবং ভোটে জোট হচ্ছেই।
বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপির বিরোধিতা করেও যে আসাউদ্দিন ওয়াইসি আসলে তাদেরই সাহায্য করেছেন, আজ তিনি তড়িঘড়ি সংখ্যালঘুদের সংরক্ষণের দাবি তুলে হাওয়া গরম করে বসেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy