প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ না-করলে দ্বিতীয় বিয়ের কোনও বৈধতা নেই। সে ক্ষেত্রে মিথ্যা বিয়ের দোহাই দিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস (অনুমতি নিয়ে যৌনমিলন) ধর্ষণের শামিল। সম্প্রতি এক মামলায় এমনটাই জানিয়েছে তেলঙ্গানা হাই কোর্ট। আদালতের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য এবং বিচারপতি বিআর মধুসূদন রাওয়ের ডিভিশন বেঞ্চে বিবাহবিচ্ছেদ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি চলছিল। স্বামীর থেকে বিচ্ছেদ চেয়ে হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন দ্বিতীয় স্ত্রী। ওই মামলার শুনানিতেই এই মন্তব্য করেছে হাই কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ।
দ্বিতীয় স্ত্রীর অভিযোগ, বিয়ের সময় প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি স্বামীর। সেই তথ্য স্বামী তাঁর কাছে গোপন করেছিলেন বলে দাবি স্ত্রীর। এই কারণে দ্বিতীয় বিয়েটি বাতিল করার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। প্রথমে তেলঙ্গানার এক পারিবারিক আদালতে এই নিয়ে মামলা করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, বৈবাহিক সম্পর্কের বিষয়ে স্বামী ভুল তথ্য জানিয়ে তাঁকে প্রতারণা করেছিলেন। এই কারণে বিয়েটি বাতিল করার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। এক কোটি টাকা খোরপোশও দাবি করেন মহিলা। কিন্তু ওই মামলা খারিজ করে দেয় আদালত।
আরও পড়ুন:
পরে পারিবারিক আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন মহিলা। মামলায় হাই কোর্ট জানিয়েছে, স্বামীর প্রথম স্ত্রী ১৪ বছর ধরে কোমায় রয়েছেন। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেননি স্বামী। ফলে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বিয়ের কোনও আইনি বৈধতা নেই। এ ক্ষেত্রে আদালত জানিয়েছে, দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের সময়ে স্বামী নিজের আগের বৈবাহিক সম্পর্কের কথা সম্পূর্ণ অবগত ছিলেন। ওই সময়ে মামলাকারী দ্বিতীয় স্ত্রী জানতেন, অভিযুক্ত স্বামীর বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় একটি মিথ্যা বিয়ের অছিলায় দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস ধর্ষণের শামিল বলে মনে করছে আদালত।