Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

চিকিৎসা করতে জেলে যাবেন তলোয়ার দম্পতি

মেয়ে আরুষি ও পরিচারক হেমরাজকে খুনের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল রাজেশ ও নূপুরের। ২০১৩ সাল থেকে দসনা জেলে বন্দি ছিলেন চিকিৎসক দম্পতি। সম্প্রতি ইলাহাবাদ হাইকোর্ট তাঁদের বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেয়।

সংবাদ সংস্থা
দসনা শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:৪৪
Share: Save:

মেয়ে ও পরিচারককে হত্যার দায় থেকে তাঁদের মুক্তি দিয়েছে আদালত। কিন্তু মাঝে মধ্যে দসনা জেলে আসতে চান দন্ত চিকিৎসক রাজেশ ও নূপুর তলোয়ার। বন্দি হিসেবে নয়, চিকিৎসক হিসেবে। বন্দিদের চিকিৎসক হয়ে প্রতি ১৫ দিনে এক বার জেলে আসার আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা।

মেয়ে আরুষি ও পরিচারক হেমরাজকে খুনের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল রাজেশ ও নূপুরের। ২০১৩ সাল থেকে দসনা জেলে বন্দি ছিলেন চিকিৎসক দম্পতি। সম্প্রতি ইলাহাবাদ হাইকোর্ট তাঁদের বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেয়। আগামিকাল জেল থেকে মুক্তি পাচ্ছেন রাজেশ ও নূপুর। তবে চিকিৎসক দম্পতির মুক্তিতে বেজায় চিন্তায় পড়েছেন জেল কর্তৃপক্ষ।

কারাকর্মীদের একাংশ জানান, গত চার বছর ধরে দসনা জেলে কার্যত অকেজো হয়ে পড়ে থাকা দন্ত চিকিৎসা বিভাগটিতে প্রাণ ফিরিয়ে এনেছিলেন রাজেশ ও নূপুরই। দসনা জেলের মুখ্য চিকিৎসক সুনীল ত্যাগী এ দিন বলেন, ‘‘তলোয়ার দম্পতি চলে গেলে জেলের দন্ত চিকিৎসা বিভাগটি খালি হয়ে যাবে। তবে তলোয়ারেরা আশ্বাস দিয়েছেন ১৫ দিন অন্তর বন্দিদের দেখতে আসবেন তাঁরা।’’ অন্য একটি সূত্রের খবর, রাজেশের ভাই চোখের ডাক্তার দীনেশ তলোয়ারও বন্দিদের চিকিৎসার জন্য ১৫ দিন অন্তর দসনা জেলে আসতে চান।

আরও পড়ুন:অস্ট্রেলিয়ার টিম বাসে পাথর ছোড়ায় ধৃত চার

সুনীল ত্যাগীর মতে, জেলে থাকাকালীন অন্তত হাজার খানেক বন্দির চিকিৎসা করেছেন তলোয়ারেরা। পুলিশ, জেলরক্ষীদেরও অনেকেরই পরিবারিক চিকিৎসক হয়ে উঠেছিলেন রাজেশ ও নূপুর।

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, জেলের হাসপাতালে শুধু অতিথি চিকিৎসকদের দিয়ে কি রোগীর ভিড় সামলানো যাবে? সে ব্যবস্থাও অবশ্য ভেবে রেখেছেন জেল কর্তৃপক্ষ। সুনীলবাবু জানান, ‘‘গাজিয়াবাদের একটি ডেন্টাল কলেজের সঙ্গে কথা হয়েছে। এ বার থেকে সপ্তাহে দু’দিন করে সেখান থেকে চিকিৎসকেরা আসবেন।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE