শীর্ষ আদালত এই খেলায় ব্যবহৃত পশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যকে। — ফাইল ছবি।
জাল্লিকাট্টুকে অনুমোদন দিয়ে তামিলনাড়ু সরকার যে আইন এনেছিল, তাকে বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। মহারাষ্ট্র, কর্নাটক এই ষাঁড়ের খেলা নিয়ে যে আইন করেছিল, সেগুলিও ‘বেআইনি’ নয় বলেই জানাল সুপ্রিম কোর্ট। কেএম জোসেফের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, জাল্লিকাট্টুর সঙ্গে নৃশংসতার কোনও যোগ নেই। একে রক্তক্ষয়ী খেলাও বলা যায় না। তবে শীর্ষ আদালত এই খেলায় ব্যবহৃত পশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যকে।
২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট জাল্লিকাট্টুকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে। জানায়, সংবিধানে পশুদের যে অধিকার রক্ষার কথা বলা হয়েছে, এই খেলা তা লঙ্ঘন করে। এই রায়ের পর তামিলনাড়ু, কর্নাটক এবং মহারাষ্ট্র জাল্লিকাট্টু, কাম্বালা এবং ষাঁড়ের গাড়ির খেলাকে বৈধতা দিয়ে নতুন আইন আনে। সেই আইনকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় পশুদের অধিকার রক্ষাকারী সংগঠন পেটা।
সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার জানাল, তামিলনাড়ু, কর্নাটক এবং মহারাষ্ট্রের আনা আইন বৈধ। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, জাল্লিকাট্টু নৃশংস নয়। এই খেলায় পশুদেরকে খুনের জন্য কেউ যোগ দেয় না। একে রক্তক্ষয়ী খেলা বলা যায় না। কারণ এই খেলায় কোনও অস্ত্র ব্যবহার করা হয় না।
বিচারপতি কেএম জোসেফ, বিচারপতি অজয় রাস্তোগী, বিচারপতি অনিরুদ্ধা বসু, বিচারপতি হৃষীকেশ রায়, বিচারপতি সিটি রবিকুমারের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘‘খেলায় কারও কারও মৃত্যু হয়, তার মানে এই নয় যে এটা রক্তক্ষয়ী খেলা। আমরা মোটেও বলব না, যাঁরা এই খেলায় অংশগ্রহণ করেন এবং ষাঁড়ের পিঠে চাপেন, তাঁরা আসলে রক্তপাত ঘটানোর জন্যই এ সব করেন। প্রতিযোগীরা পশু খুন করতে অংশগ্রহণ করেন না। ঘটনাচক্রে রক্তপাত হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy