এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
যৌন নির্যাতনের মামলায় দু’পক্ষ আদালতের বাইরে ‘মিটমাট’ করে নেওয়া মানেই সেই মামলা খারিজ করে দেওয়া যায় না। বৃহস্পতিবার এক মামলায় এই রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। এক নাবালিকা দলিত ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছিল রাজস্থানের এক সরকারি স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পরে অভিযোগকারী পক্ষ এবং অভিযুক্ত আদালতের বাইরে বিষয়টি ‘মিটমাট’ করে নেওয়ায় রাজস্থান হাই কোর্ট অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর খারিজের নির্দেশ দিয়েছিল। হাই কোর্টের ওই নির্দেশ বৃহস্পতিবার খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সিটি রবিকুমার এবং বিচারপতি পিভি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ।
মামলার সূত্রপাত ২০২২ সালে। স্কুলশিক্ষকের বিরুদ্ধে নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন নির্যাতিতার পরিবার। ঘটনার সময় নাবালিকার বয়স ছিল ১৫ বছর। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো আইন তফসিলি জাতি ও জনজাতি আইনে মামলা রুজু হয়েছিল। নির্যাতিতা নাবালিকার বয়ানও সংগ্রহ করা হয়েছিল। নিম্ন আদালতে মামলাটি চলছিল। এরই মধ্যে একটি স্ট্যাম্প পেপারে নির্যাতিতার পরিবারের বয়ান পুলিশের কাছে জমা দেন অভিযুক্ত শিক্ষক। সেখানে নির্যাতিতার পরিবারের বক্তব্য ছিল, ভুল বোঝাবুঝির কারণে তাঁরা মামলাটি করেছিলেন। এখন তাঁরা শিক্ষকের বিরুদ্ধে আর কোনও পদক্ষেপ চান না।
পুলিশ সেই রিপোর্ট আদালতে জমা দেয়। কিন্তু নিম্ন আদালত সেই স্ট্যাম্প পেপারের বয়ানে মান্যতা দেয়নি। পরে অভিযুক্ত হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। রাজস্থান হাই কোর্ট সেই বয়ান গ্রহণ করে এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর খারিজের নির্দেশ দেয়। পরে হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন এক সমাজকর্মী। সোমবার ওই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ রাজস্থান হাই কোর্টের নির্দেশকে খারিজ করে দিয়েছে। শীর্ষ আদালতের মতে, বিষয়টি ‘মিটমাট’ হয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে অভিযুক্ত পক্ষ কখনও এই ধরনের আবেদন জানাতে পারে না।
প্রসঙ্গত, বুধবারই গুজরাত হাই কোর্টকে বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি ধর্ষণের মামলা পুনরায় শোনার জন্য বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। ওই মামলায় নির্যাতিতা নিরক্ষর। ওই মামলাটির ক্ষেত্রেও দু’পক্ষের ‘সম্মতিতে মিটমাট’ হয়ে যাওয়ার কারণে সেটি খারিজ করে দিয়েছিল হাই কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ওই মামলায় মিটমাটের ‘ডিড’ বা দলিলে কী কী বিষয় উল্লেখ রয়েছে, তা নির্যাতিতা জানেন কি না, সেটি স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন। তাই নির্যাতিতা মহিলাকে আদালতে ডেকে তাঁর বক্তব্য শোনার জন্য বলেছে শীর্ষ আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy