Advertisement
E-Paper

ঘুষ নিয়ে বক্তৃতা, ভোট! সাংসদ, বিধায়কদের ‘রক্ষাকবচ’ নিয়ে রায় সংরক্ষিত সুপ্রিম কোর্টে

১৯৯৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, সংসদ বা বিধানসভার টাকা নিয়ে বক্তৃতা বা প্রশ্ন করা এবং ভোট দেওয়ার অভিযোগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা যাবে না।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৩ ১৬:০৯
Share
Save

টাকার বিনিময়ে আইনসভায় নির্দিষ্ট বিষয়ে বক্তৃতা করা, প্রশ্ন তোলা বা ভোটাভুটিতে অংশ নেওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট সাংসদ-বিধায়কের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা যাবে কি না, সে বিষয়ে রায় সংরক্ষিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের সাত বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত রায় সাময়িক ভাবে সংরক্ষিত রাখার কথা জানিয়েছে।

১৯৯৮ সালে শীর্ষ আদালতের রায়ে জানানো হয়েছিল, সংসদ বা বিধানসভায় টাকা নিয়ে নির্দিষ্ট বিষয়ে বক্তৃতা বা প্রশ্ন করার অভিযোগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সাংসদ-বিধায়কের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা যাবে না। কিন্তু গত ২০ সেপ্টেম্বর আড়াই দশকের পুরনো সেই রায় পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ। ১৯৯৮ সালের সেই রায় পুনর্বিবেচনার ভার দেওয়া হয়েছিল সাত বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চকে।

শীর্ষ আদালতে এই মামলার শুনানি-পর্বে কেন্দ্রের আইনজীবী তথা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা ১৯৯৮ সালের রায়ের প্রতি আস্থা ব্যক্ত করেন। এ প্রসঙ্গে ভারতীয় সংবিধানের ১০৫(২) ধারার উল্লেখ করে তিনি জানান, কোনও সাংসদ বা বিধায়ক সংশ্লিষ্ট আইনসভার অন্দরে কোন বিষয় উত্থাপন করবেন, কোন বিতর্কে অংশ নিয়ে বক্তৃতা করবেন বা কাকে ভোট দেবেন, তা আদালতের বিবেচনার এক্তিয়ারভুক্ত হতে পারে না।

প্রসঙ্গত, পিভি নরসিংহ রাও প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবে ভোটাভুটির সময় ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম)-র কয়েক জন সাংসদ টাকা নিয়ে ভোট দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ওই মামলাতেই ১৯৯৮ সালে শীর্ষ আদালত অভিযুক্ত সাংসদদের ছাড় দিয়েছিল। কিন্তু ২০১৯ সালে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি আইনসভার অন্দরে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কার্যকলাপের উপর ‘আইনি রক্ষাকবচ’ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিষয়টি পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠিয়েছিল। তারই জেরে সাত বিচারপতির বেঞ্চে গিয়েছে রায় পুনর্বিবেচনার ভার।

Immunity MP MLA Supreme Court

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}