Advertisement
E-Paper

হাতি তাড়ানো: বঙ্গকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের

সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশে জানায়, পশ্চিমবঙ্গে শলাকা ও জ্বলন্ত মশালের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে জানানো হয়, মানুষ-হাতির দ্বন্দ্বের সময়ে অন্য পদ্ধতি মেনে চলা সম্ভব নয়।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:০৬
Share
Save

হাতি তাড়ানোর ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ না মানায় আদালত অবমাননার মামলায় পশ্চিমবঙ্গকে নোটিস পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট। আবেদনকারী জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে বন্য হাতির উপদ্রব রুখতে পশ্চিমবঙ্গে কাঁটা (ধাতব শলাকা) ও জ্বলন্ত মশাল ব্যবহার করা হচ্ছে। এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের প্রধান মুখ্য বনপালের বক্তব্য জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত।

প্রেরণা সিংহ বিন্দ্রা বনাম কেন্দ্রের মামলায় শীর্ষ আদালত ২০১৮ সালে দু’টি নির্দেশ দেয়। ওই মামলায় হাতি তাড়ানোর ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ, কর্নাটক, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশায় যে নিষ্ঠুর পদ্ধতি মেনে চলা হয় তা বন্ধ করতে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ চান আবেদনকারী। এর মধ্যে ছিল কর্নাটক ও পশ্চিমবঙ্গে হাতিদের গতিবিধি রুখতে ধাতব শলাকার ব্যবহার ও পশ্চিমবঙ্গে সরকারি মদতে ‘হুলা পার্টি’ নিয়োগ।

সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশে জানায়, পশ্চিমবঙ্গে শলাকা ও জ্বলন্ত মশালের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে জানানো হয়, মানুষ-হাতির দ্বন্দ্বের সময়ে অন্য পদ্ধতি মেনে চলা সম্ভব নয়। শীর্ষ আদালত রায়ের ব্যাখ্যায় জানায়, জরুরি পরিস্থিতিতে মৃত্যু বা ফসলের ক্ষতি এড়াতে মশাল ব্যবহার করা যেতে পারে। বিকল্প পথ আছে কি না তা জানতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেবে বলে জানায় পশ্চিমবঙ্গ।

নয়া আর্জিতে আবেদনকারী জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার হাতি ও মানুষের দ্বন্দ্বের ঠিক সমাধান করতে পারেনি। হাতি তাড়ানোর বিকল্প পন্থাও খোঁজা হয়নি। কর্নাটক ও অন্য কিছু রাজ্য বিকল্প পথ খুঁজছে।

পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার উদাহরণ দেন আবেদনকারীর আইনজীবী। জানান, ২০২৪ সালের ১৫ অগস্ট ঝাড়গ্রামে জ্বলন্ত মশাল ছুড়ে মারায় মৃত্যু হয় একটি হাতির। আবেদনকারীর মতে, হুলা পার্টির অভিযানে পরিস্থিতি অনিশ্চিত থাকে। জনতাকে নিয়ন্ত্রণের বিশেষ উপায়ও থাকে না। ওই পরিস্থিতিতে হাতিদের মশাল ছুড়ে মারা স্বাভাবিক। এ সব পদ্ধতি অনুমোদন করে পশ্চিমবঙ্গ ১৯৭২ সালের বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইন ভাঙছে।

আবেদনকারী জানিয়েছেন, অন্য রাজ্যে বিভিন্ন গ্রামের সীমানায় আলো লাগানো হয়েছে। গ্রামবাসীদের দেওয়া হয়েছে এলইডি বা সৌরশক্তি চালিত টর্চ। হাতি তাড়াতে লঙ্কার ধোঁয়া ও ঢাক ব্যবহার করা হচ্ছে। হাতির যাতায়াতের কথা জানতে আগাম হুঁশিয়ারির ব্যবস্থা হয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ এই ধরনের পদক্ষেপ করেনি। হাতি বিশেষজ্ঞ পি বেঙ্কটচালমের বক্তব্য, ‘‘হাতির পালকে জঙ্গলে ফেরাতে আগুনই একমাত্র পথ। টর্চ এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করে ফল মেলে না। আফ্রিকাতেও হাতির পাল তাড়াতে আগুন ব্যবহার করা হয়। তবে আগুন যাতে হাতির গায়ে না লাগে তা নিশ্চিত করতে হবে। দেখতে হবে, হুলা পার্টির সদস্যেরা উত্তেজিত হয়ে যাতে কাঁটা না ছোড়েন।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Mamata Banerjee Supreme Court of India

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}