দিনের ব্যস্ততা সবে শুরু হয়েছিল করিমগঞ্জের বালিয়ায়। আজ ঘড়িতে তখন সকাল সাড়ে ১০টা। আচমকা তাল কাটল। প্রচণ্ড গতিতে পূর্ত সড়কে ঢুকল একটি গাড়ি। ভিতর থেকে রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলা হল একটি মৃতদেহ। মুহূর্তে গতি নিয়ে পালাল গাড়িটি। এলাকার কয়েক জন সেটিকে ধাওয়া করার চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। পরে তল্লাশি চালিয়ে ওই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে কয়েক জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ধৃতদের জেরা করে হতবাক পুলিশকর্তারা। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতদেহটি বাংলাদেশের বাসিন্দা আব্দুল আহাদের। ধৃতরা তদন্তকারীদের জানায়, সম্প্রতি কয়েক জনের সঙ্গে উনকিয়াংয়ে মেঘালয় সীমান্ত পেরিয়ে এ দেশে ঢুকেছিল তারা। হঠাৎ শরীর খারাপ হয়ে যায় আহাদের। গত রাতে মারা যায়। উপায় খুঁজে না পেয়ে তার দেহ রাস্তা ফেলতে এসেছিল সঙ্গীরা।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় ধৃত ৭ জনের মধ্যে পাঁচ জন বাংলাদেশি। বাকিরা থাকে করিমগঞ্জে। তদন্তকারীদের অনুমান, ধৃতদের সঙ্গে জাল পাসপোর্ট চক্রের যোগসাজস থাকতে পারে। একটি ভুয়ো পাসপোর্টও তাদের কাছে মিলেছে। মিলেছে ভারতীয় ভোটার কার্ড। পুলিশের আশঙ্কা, ওই চক্রের সঙ্গে যোগ রয়েছে সৌদি আরবের দুষ্কৃতীদের। এ বিষয়ে তদন্ত চালাতে গুয়াহাটি থেকে বিশেষ তদন্তকারী দল আসছে করিমগঞ্জে।
এ দিকে, এমনই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা জেলায়। নিলামবাজার থানার পুলিশকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গাড়িটি ফাকুয়ার দিকে গিয়েছিল। পুলিশ জানায়, শাহাজান নামে কালীগঞ্জের এক বাসিন্দা সীমান্ত পার করতে সকলকে সাহায্য করেছিল। শাহাজান মুম্বই, সৌদি আরবে নিয়মিত যাতায়াত করে। এ দিন রাস্তার পাশে মৃতদেহ ফেলে পালানোর সময় পানের দোকানে গাড়ি দাঁড় করিয়েছিল সকলে। তখনই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy