Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Firhad Hakim

ফিরহাদের নিয়ে যাওয়া ত্রাণ বিলি করা গেল না! দুর্যোগের মধ্যেই লুটপাট চলল মালদহের রাস্তায়

মালদহের মানিকচক ব্লকে বন্যাবিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। টেলিফোনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তাও শোনান। ত্রাণ বিলির মাঝেই শুরু হয় উত্তেজনা।

—নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
মানিকচক শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:৫৩
Share: Save:

রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নিয়ে যাওয়া বন্যার ত্রাণ লুট হয়ে গেল মালদহের মানিকচক ব্লকের ভুতনিচরে। শনিবার বন্যাদুর্গতদের জন্য লরিভর্তি ত্রাণ নিয়ে গিয়েছিলেন রাজ্যের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী। অভিযোগ, ত্রাণ বিলি হওয়ার মাঝেই সেগুলো লুট করেন কয়েক জন। সামলানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন যাঁরা ত্রাণ বিলি করার দায়িত্বে ছিলেন। বৃষ্টির মধ্যে কেউ কেউ লরিতে উঠে ত্রাণের জিনিস নিয়ে পালিয়ে যান। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।

শনিবার মালদহের মানিকচক ব্লকে বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন ফিরহাদ। সেখানে তিনি টেলিফোনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তাও শোনান। বেশ কিছু দিন ধরে গঙ্গার ভাঙনে বিধ্বস্ত মানিকচকের গোপালপুরে বিস্তীর্ণ এলাকা। সেখান থেকে মন্ত্রী তোপ দাগেন কেন্দ্রকে। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া মানুষদের জন্য ত্রাণ নিয়ে যাওয়া হয়েছে জানান। কিন্তু মন্ত্রী ওই স্থান থেকে যাওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যায় ত্রাণ নেওয়ার জন্য হুটোপুটি।

মানিকচকে বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে দোষারোপ করেন ফিরহাদ। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ত্রাণ নিয়ে এসেছেন। আরও সাহায্য পাবেন দুর্গতরা। কিন্তু কেন্দ্র তাদের দায়িত্ব পালন করেনি। তিনি বলেন, ‘‘এখানে বন্যাপরিস্থিতি ভয়াবহ। গঙ্গার ভাঙনে একটি দিক বিধ্বস্ত হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের অসহযোগিতা এবং টানা বর্ষণে ভাঙন রোধের কাজ আমরা করতে পারিনি। টানা কয়েক দিনের বৃষ্টির জেরে হু হু করে জল বেড়েছে গঙ্গায়। বন্যাকবলিত মালদহের মানিকচক এবং ভুতনিচরবাসীর পাশে আমরা আছি।’’ ফিরদাহের ফোনে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বার্তায় বলেন, মন্ত্রীর সংযোজন, ‘‘আমাদের সরকার আপনাদের সর্বতো ভাবে সাহায্য করবে। আমি আজ ফিরহাদকে পাঠিয়েছি। তা ছাড়া আপনাদের যে কোনও সমস্যার কথা জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারকে জানান।’’ বানভাসিরা যাতে কোনও সমস্যার সম্মুখীন না হন, পর্যাপ্ত ত্রাণ পান, তার জন্য মমতা নির্দেশ দেন জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারকে।

কিন্তু ত্রাণ বিতরণের শেষের দিকে শুরু হয় উত্তেজনা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, হঠাৎ করে ভিড় বেড়ে যায়। ত্রাণের জন্য সবাই হাত বাড়াতে থাকেন। তার মধ্যে অনেকে ত্রাণ পাননি। তাঁরা চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। কেউ কেউ ত্রাণ নিতে এসে বৃষ্টিতে ভিজে খালি হাতে বাড়ি ফিরে যান। এ নিয়ে প্রশাসনের তরফে এখনও কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।

অন্য বিষয়গুলি:

Flood Relief Malda FirhadHakim
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy