১০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর ধস। ছবি: পিটিআই।
গত কয়েক দিন ধরেই সিকিমের বহু জেলায় ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। শুক্রবার মরসুমের প্রথম তুষারপাত হয়েছে ছাংগুতে। তবে বৃষ্টি আর তুষারপাতের পরিমাণ যে আগামী দিনে বাড়তে পারে, সেই বার্তাই দিয়েছে মৌসম ভবন। উৎসবের মরসুমে সিকিমে প্রচুর পর্যটক ভিড় জমান। ইতিমধ্যেই সেখানে পর্যটকের ঢল নামতে শুরু করেছে। কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে পর্যটকদেরও সতর্ক করা হয়েছে। কারণ বৃষ্টির পরিমাণ যেমন বাড়তে পারে, তেমনই ধসের আশঙ্কাও করা হয়েছে। তাই ধসপ্রবণ এলাকাগুলি এড়িয়ে চলার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
গ্যাংটকের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, গত তিন দিন ধরে সিকিমে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। ধসের কারণে রাং-রাং সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে মঙ্গল জেলা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। বিকল্প রাস্তা জোঙ্গুও বন্ধ। ফলে পরিস্থিতি আরও সঙ্কটময় হয়ে উঠেছে। আগামী দু’দিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির চূ়ান্ত সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। মঙ্গন, গ্যালসিং, পাকিয়ং, সোরেং, নামচি এবং গ্যাংটকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে এবং পাহাড়ে তুষাপাতের সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
ধসপ্রবণ এলাকাগুলিতে নজরদারি চালাচ্ছে প্রশাসন। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। রাজ্যবাসী এবং পর্যটকদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত নির্দেশিকা মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জলাধারে জলের চাপ যাতে না বাড়ে তার জন্য তিস্তা লো ড্যাম ৩ এবং ৪ থেকে জল ছাড়া শুরু হয়েছে। ফলে তিস্তাপার সংলগ্ন বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে। তিস্তা ফুলেফেঁপে ওঠায় প্রভাব পড়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy