বোনের বিয়েতে যোগ দেওয়ার জন্য আদালতের নির্দেশে ৭ দিনের অন্তর্বর্তিকালীন জামিন পেয়েছিলেন ছাত্রনেতা উমর খলিদ। এই ৭ দিনে পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটালেন জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন এই ছাত্র।
উমরের বাঙালি বান্ধবী বনজ্যোৎস্না লাহিড়ী গত শনিবার নিজের টুইটার হ্যান্ডলে ছাত্রনেতার কিছু ছবি পোস্ট করেছেন। সেখানে তাঁদের দু’জনের একান্তে সময় কাটানোর কিছু ছবিও রয়েছে। টুইটে বনজ্যোৎস্না লিখেছেন, “আমরা এক সপ্তাহ খুব ভাল ভাবে কাটালাম। অনেক হাসলাম, মজা করলাম। আমরা এই কয়েক দিনে দুঃখ পাইনি, রেগে যাইনি।” একই সঙ্গে তিনি তাঁদের একান্তে কাটানো এই মুহূর্তগুলোকে বুস্টার ডোজ় বলে বর্ণনা করেছেন। বনজ্যোৎস্নার দাবি, এই মুহূর্তগুলি তাঁদের সামনের লড়াইগুলির জন্য প্রস্তুত করবে।
আরও পড়ুন:
So sans sensationalism, we lived one week at its fullest! Among a lot of laughter and joy, good food and merriment! We refused to be sad or anxious! We treated this one week as Umar's mom said, like a booster dose to fight life ahead, as it comes!
— banojyotsna (@banojyotsna) December 31, 2022
Happy New Year everyone! pic.twitter.com/F2T46Lo4pK
দিল্লি দাঙ্গা মামলায় ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে জেল হেফাজতে রয়েছেন উমর। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ)-তে মামলা চলছে। দিল্লি দাঙ্গার সময় পাথর ছোড়ার মামলায় উমর-সহ প্রাক্তন ছাত্রনেতা খলিদ সইফিকে মুক্তি দিয়েছে করকরদুমা আদালত। তবে উমর এবং সইফি, দু’জনকেই দিল্লি হিংসা মামলায় দেশদ্রোহিতার ধারায় অভিযুক্ত হিসাবে জেলে থাকতে হয়েছে।
ডিসেম্বরে বোনের বিয়েতে যোগ দেওয়ার জন্য দিল্লির তিস হাজারি আদালতে আবেদন করেছিলেন উমর। সেই আবেদন মঞ্জুর করেন অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারক অমিতাভ রাওয়ত। আদালতের নির্দেশ মোতাবেক, ২৩ ডিসেম্বর ৭ দিনের জন্য জেলমুক্ত হয়েছিলেন উমর। ৩০ ডিসেম্বর আবার তাঁকে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হয়।