মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (এআরএসএ বা আরসা) ১০ নেতা-কর্মী গ্রেফতার হলেন বাংলাদেশে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন আরসার প্রধান আতাউল্লা ওরফে আবু আম্বার জুনুনি। জুন্টা সরকারের সেনাকে হারিয়ে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি রাখাইন প্রদেশের বড় অংশের দখল নেওয়ার কারণেই জুনুনি-সহ আরসার ছ’জন নেতা-কর্মী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করতে গোপন বৈঠকের সময় সোমবার রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও ময়মনসিংহে পৃথক অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশের সন্ত্রাদমন বাহিনী ‘র্যাব’ (র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন) জুনুনি-সহ ১০ জনকে গ্রেফতার করে বলে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো জানিয়েছে। মঙ্গলবার আদালতে তোলা হলে র্যাবের আবেদন মেনে জুনুনি-সহ ছ’জনকে জেরার জন্য পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়। পুলিশ সূত্রের খবর অন্য ধৃতেরা বাংলাদেশেরই রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দা। মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশেই মূলত মুসলিম রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বাস।
আরও পড়ুন:
একদা সামরিক জুন্টার ‘চক্ষুশূল’ রোহিঙ্গা মুসলিমেরা চলতি যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সরকারি বাহিনীর সহযোগী হয়েছিলেন। আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি (এআরএ), আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) এবং রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজ়েশন (আরএসও)-এর যোদ্ধারা গত এক বছর ধরে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় জুন্টা ফৌজের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে লড়েছিলেন। যদিও তাতে ‘শেষরক্ষা’ হয়নি। রাখাইন প্রদেশের অধিকাংশ এলাকাই জুন্টার হাতছাড়া হয়েছে। মায়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তের মোট দৈর্ঘ্য ২৭১ কিলোমিটার। আর গত দেড় বছরের যুদ্ধে তার পুরোটাই দখল করে নিয়েছে বিদ্রোহী জোট ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’-এর বৃহত্তম সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে আরাকান আর্মির নিশানা হয়েছেন রোহিঙ্গারা।