সোনা পাচার মামলার তদন্তে তদন্তকারী সংস্থা আগেই জানিয়েছিল, গত কয়েক দিনের ব্যবধানে ২৬ বার দুবাই গিয়েছেন কন্নড় অভিনেত্রী রান্যা রাও। মঙ্গলবার আদালতে সেই একই দাবি করলেন রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগের (ডিআইআর) কর্তারা। তাঁরা জানান, এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত অভিনেতা তরুণ কোন্ডুরু রাজুর সঙ্গেই দুবাই গিয়েছিলেন রান্যা। দুবাই ভ্রমণ নিছক বেড়ানোর উদ্দেশ্যে ছিল না, নেপথ্যে ছিল সোনা পাচারই!
সোনা পাচার মামলায় রান্যার বয়ানের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছিল তরুণকে। সেই মামলায় জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন তিনি। তবে তাঁর বিরোধিতা করেন গোয়েন্দারা। তাঁরা আদালতে জানান, রান্যা এবং তরুণ সকালে দুবাই যেতেন, আবার রাতের মধ্যে ফিরে আসতেন। ঘন ঘন এ ভাবে দুবাইযাত্রা সন্দেহ জাগাচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, দু’জনের মধ্যে আর্থিক যোগসূত্রও খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। আদালতে তাঁরা জানান, রান্যাই তাঁর বন্ধু তরুণের জন্য দুবাই থেকে হায়দরাবাদ ফেরার টিকিটের টাকা পাঠাতেন। পাচার মামলায় তরুণের যোগ রয়েছে, তার প্রমাণ মিলেছে বলেও দাবি গোয়েন্দাদের।
২০২৩ সাল থেকে গ্রেফতারির আগে পর্যন্ত মোট ৫২ বার দুবাই গিয়েছেন রান্যা। যার মধ্যে তরুণ সঙ্গী হয়েছিলেন ২৬ বার। এমনকি রান্যার গ্রেফতারির খবর প্রকাশ্যে আসার পরই গা ঢাকা দিয়েছিলেন তাঁর বন্ধু। পরে দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টাও করেন।
আরও পড়ুন:
গোয়েন্দা সূত্রের খবর, রান্যার মোবাইল এবং ল্যাপটপ থেকে যে তথ্য উদ্ধার হয়েছে, সেখানে এই পাচারচক্রের সঙ্গে তরুণের যোগ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। রান্যার দীর্ঘ দিনের সঙ্গী তরুণ। জেরায় তরুণ দাবি করেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে তাঁর এবং রান্যার অংশীদারি ব্যবসা রয়েছে। সেই কারণেই বার বার দুবাই যেতে হত তাঁদের। যদিও সেই যুক্তি মানতে নারাজ গোয়েন্দারা।