অশনি সঙ্কেত ধরা দিয়েছিল প্রথম যাত্রাতেই।
যাত্রীদের মনোরঞ্জনের কথা ভেবে বিমানের ধাঁচে এলসিডি স্ক্রিন, হেডফোন বসানো হয়েছিল তেজস ও শতাব্দীর মতো কিছু গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনে। কিন্তু ফল কী হল? এলসিডি স্ক্রিন উপড়ে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা আর প্রতিটি সফরের শেষে অধিকাংশ হেডফোন চুরি যাওয়ার পরে নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হয়েছে রেল। ট্রেনে লাগানো এলসিডি স্ক্রিন, হেডফোন খুলে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
গত বছরই প্রথম বার মুম্বই-গোয়া তেজস ট্রেনে বিমানের ধাঁচে এলসিডি স্ত্রিন লাগিয়েছিল রেল। তাতে খবর থেকে সিনেমা-গান ইত্যাদি শোনার জন্য যাত্রীদের আলাদা করে হেডফোন দেওয়া হয়। কিন্তু প্রথম সফরেই খোয়া যায় অধিকাংশ হেডফোন।
সেই সঙ্গে অনেকেই চেয়েছিলেন এলসিডি স্ক্রিনটিকেও বাড়ি নিয়ে যেতে। দেখা যায়, তার জন্য রীতিমতো খোঁচাখুঁচি করে স্ক্রু খোলার চেষ্টা হয়েছে। বিফল হয়ে বহু ক্ষেত্রে ভেঙে দেওয়া হয়েছে স্ক্রিন।
রেল তখন ভেবেছিল, প্রথম সফর বলে হয়তো এমনটি হয়েছে। ফলে মুম্বই-অমদাবাদ শতাব্দী ট্রেনেও এলসিডি স্ক্রিন বসানোর কাজ থামেনি। কিন্তু একই অবস্থা হয়েছে সেটিরও। রেলের অফিসারের কথায়, ‘‘প্রতিটি যাত্রার শেষে অর্ধেকের বেশি হেডফোন খোয়া যাচ্ছে। খোলার চেষ্টা হচ্ছে এলসিডি স্ক্রিন। ব্যর্থ হয়ে স্ক্রিন ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। পারলে মোবাইল চার্জ পয়েন্টও বাড়ি নিয়ে যেতে চান যাত্রীরা। বোতল, পানের পিক ফেলে নষ্ট করা হয়েছে বায়ো টয়লেট।’’ কোনও সংগঠিত চক্র এই কাজ করছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গত এক বছরে বিভিন্ন রুটে ট্রেনগুলি চালিয়ে যে নেতিবাচক ছবি এসেছে, তাতে রেল খুবই হতাশ। রেলকর্তাদের প্রশ্ন, রেল পরিষেবা দিতে প্রস্তুত।
কিন্তু যাত্রীরা কি পরিষেবা পেতে প্রস্তুত? আপাতত এলসিডি স্ক্রিন, হেডফোন খুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে জোনগুলির কাছে চিঠি পাঠিয়েছে রেল বোর্ড। যাত্রীদের জন্য কেবল ওয়াই ফাই পরিষেবা থাকবে। তাতে ট্রেনের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy