দু’জনকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকেরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রতীকী ছবি।
বহু দিন ধরে স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি। কখনও চাকরি নিয়ে, কখনও বা চরিত্র নিয়ে সন্দেহের জন্য কথা কাটাকাটি। মানসিক চাপ আর সামলাতে না পেরে মৃত্যুই বেছে নিলেন মুম্বই নিবাসী ভূপেশ পাওয়ার (৪২)। নিজের বাড়িতেই গলায় ফাঁস দিয়ে মারা যান ভূপেশ। আত্মহত্যা করার আগে ১১ বছর বয়সি কন্যাকেও ফাঁস দিয়ে মেরে ফেলেন তিনি। শেয়ার বাজারের কারবারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ভূপেশ। মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনাটি মুম্বইয়ের লালবাগ এলাকায় ঘটেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ন’টা থেকেই ভূপেশ এবং তাঁর স্ত্রী ভাগ্যশ্রীর মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। অশান্তির পর অফিসের কাজে বেরিয়ে যান ভাগ্যশ্রী। অফিসে পৌঁছনোর কিছু ক্ষণ পর কন্যাকে ফোন করেন তিনি। অনেক ক্ষণ বেজে যাওয়ার পরেও কন্যাকে ফোনে না পেয়ে ভূপেশের নম্বরে ফোন করেন ভাগ্যশ্রী। ভূপেশও ফোন না ধরায় পুলিশকে জানান ভাগ্যশ্রী। খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে পুলিশ। ভিতরে ঢুকে পুলিশ দেখে, ভূপেশ এবং তাঁর কন্যা, দু’জনের গলাতেই ফাঁস লাগানো। দু’জনকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকেরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘরের ভিতর তল্লাশি চালিয়ে সুইসাইড নোটও উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, সুইসাইড নোটে তারিখ লেখা রয়েছে ২০ এপ্রিল। ভুপেশ সেই চিঠিতে লিখেছেন যে, তাঁর মৃত্যুর জন্য শ্বশুরবাড়ির লোক এবং স্ত্রী ভাগ্যশ্রী দায়ী। নিজের সব সম্পত্তি তাঁর ছোট ভাইকে দিয়েছেন বলে লেখা রয়েছে ভূপেশের চিঠিতে। এই চিঠিটিকেই যেন তাঁর ইচ্ছাপত্র হিসাবে মানা হয় তা-ও লিখে রেখেছেন ভুপেশ।
ভাগ্যশ্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, ভূপেশের সঙ্গে ১২ বছর ধরে সংসার করছেন তিনি। কিন্তু তাঁদের মধ্যে রোজ অশান্তি লেগে থাকত। ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের কাজ করেন ভাগ্যশ্রী। পুলিশ সূত্রে খবর, স্ত্রী যে ধরনের কাজ করেন তা অপছন্দ ছিল ভূপেশের। চাকরি নিয়েই ভাগ্যশ্রীর সঙ্গে ঝামেলা করতেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, একে অপরের চরিত্র নিয়েও সন্দেহ করতেন ভূপেশ এবং ভাগ্যশ্রী। পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে থাকতে পারেন এই সন্দেহে ঝগড়া লাগত তাঁদের মধ্যে। পুলিশের অনুমান, আত্মহত্যা করার পরিকল্পনা কিছু দিন আগেই করে ফেলেছিলেন ভূপেশ। সুইসাইড নোটে আগেকার তারিখ লেখা রয়েছে দেখেই পুলিশের এই অনুমান। ভাগ্যশ্রী বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর আত্মহত্যা করেন তিনি। নিজের কন্যাকেও মেরে ফেলেন ভূপেশ, এমনটাই মনে করছে পুলিশ। খুন এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে মুম্বই পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy