চম্পাই সোরেন। ছবি: পিটিআই।
জমি জালিয়াতি মামলায় বুধবার গ্রেফতার করা হয়েছে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শেষে সন্ধ্যায় রাজভবনে গিয়ে ইস্তফাপত্র জমা দিয়ে আসার পরেই তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। তার পরেই শাসক শিবির সূত্রে জানা যায়, ঝা়ড়খণ্ডের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী-মুখ হতে চলেছেন চম্পাই সোরেন। তা নিয়ে জল্পনার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী হেমন্তের এক্স হ্যান্ডল থেকে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। তাতে চম্পাইয়ের নামেই ‘সিলমোহর’ দেওয়া হয়েছে।
হেমন্তের এক্স (পূর্বতন টুইটার) হ্যান্ডেলে জারি হওয়া ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দলের পরবর্তী নেতা হিসাবে চম্পাইয়ের নাম বেছেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার অর্থাৎ ৩০ জানুয়ারি শাসক জোটের বিধায়কদের নিয়ে যে বৈঠক হয়েছিল, সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত জানিয়েছিলেন যে, জরুরি পরিস্থিতিতে তাঁকে সব পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হতে পারে। সেই সময় উপস্থিত বিধায়কেরা জানিয়েছিলেন, শাসক শিবিরের নেতা হিসাবে মুখ্যমন্ত্রী যাঁকে বাছবেন, তাঁকেই তাঁরা মেনে নেবেন। সেই মতো মুখ্যমন্ত্রী হেমন্তই পরবর্তী নেতা হিসাবে চম্পাইকে বেছেছেন। জরুরি পরিস্থিতিতে তিনিই রাজভবনে গিয়ে মন্ত্রিসভা গঠনের দাবি জানাবেন।
গত কয়েক দিন ধরেই হেমন্তকে জমি জালিয়াতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছিল ইডি। এই মামলায় এর আগেও এক বার কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারীদের মুখোমুখি হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁর কাছে সময় চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু হেমন্ত কোনও সাড়া দেননি। ২৯ জানুয়ারি তাঁর বাসভবনেও গিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। কিন্তু তাঁর দেখা মেলেনি। শোনা গিয়েছিল, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তা সম্ভব হয়নি। প্রায় ৩০ ঘণ্টা ‘নিখোঁজ’ থাকার পর বুধবার দুপুরে রাঁচীতে নিজের বাড়ির সামনে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এর পরেই তাঁর বাড়িতে ঢোকেন তদন্তকারীরা। সাত ঘণ্টা ইডি আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়ে সন্ধ্যায় রাজভবনে যান মুখ্যমন্ত্রী। তার পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy