ভারতে আশ্রয়ের খোঁজে শ্রীলঙ্কার দুই পরিবার।
অবসন্ন, ক্লিষ্ট ছোট ছোট মুখগুলি। দেখেই মনে হচ্ছিল অনেক ধখল সহ্য করেছে। একটা আতঙ্কের ছাপও স্পষ্ট ধরা পড়ছিল তাঁদের মুখে। তাঁদের ভবিষ্যৎ কী জানা নেই। তা সত্ত্বেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উত্তাল সমুদ্র বেয়ে সেই অজানা ভবিষ্যতকে আঁকড়ে ধরতেই রাতের অন্ধকারে বেরিয়ে পড়েছিলেন। তবে এটুকু তাঁরা জানতেন, যে ভাবেই হোক ভারতে পৌঁছতে হবে।
শুক্রবার সকালে পৌঁছেছেন তাঁরা। সমুদ্র সৈকত থেকেই তাঁদের আটক করে পুলিশ। এমনই অজানা ভবিষ্যতের খোঁজে মার্চ মাস থেকে বহু পরিবার ছুটে এসেছে ভারতে। সেই তালিকায় এ বার নতুন সংযোজন শ্রীলঙ্কার আরও দুই পরিবার। সাত জনের এই পরিবারে দু’জন মহিলা, এক জন পুরুষ এবং তিন শিশু রয়েছে।
শ্রীলঙ্কায় চরম অর্থনৈতিক সঙ্কটের জেরে ত্রিঙ্কোমালি, মান্নার জাপানাম এবং ভাবুনিয়া থেকে বহু পরিবার সুমদ্রপথেই ভারতে আশ্রয় নিতে ছুটে আসছে। ইতিমধ্যেই ৮৩ জন রামেশ্বরমের মন্ডপম শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন।
শুক্রবার সকালেই দু’টি পরিবার তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমে এসে পৌঁছেছে। তাঁদের দেখেই বোঝা যাচ্ছে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি কতটা ভয়ানক পর্যায়ে পৌঁছেছে। আর যে কারণেই নিজেদের বাঁচাতে একের পর এক পরিবার ভারতে আশ্রয় নেওয়ার জন্য ছুটে আসছে। সমুদ্রপথে ভারতে পৌঁছতেই দু’টি পরিবারকে আটক করেছে উপকূলীয় পুলিশ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রস্তুতিও চলছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
রাজ্য প্রশাসনের এক সূত্রের দাবি, গত ২২ মার্চ থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত মোট ৯০ জন শ্রীলঙ্কার নাগরিক ভারতে আশ্রয়ের জন্য এসেছেন। তাঁদের মধ্যে ৮৩ জনকে রামেশ্বরমের শরণার্থী শিবিরে ঠাঁই দেওয়া হয়েছে।
অর্থনৈতিক সঙ্কটের জেরে টালমাটাল অবস্থা শ্রীলঙ্কার। চরম সঙ্কটের মুখে পড়ে নাগরিকরা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হন। রাস্তা রাস্তায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তাঁরা। পরিস্থিতি পরবর্তী কালে এত ঘোরালো হয়ে ওঠে যে প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন। আর্থিক সঙ্কটের পাশাপাশি, খাদ্য এবং জ্বালানি সঙ্কটেও জেরবার দ্বীপ রাষ্ট্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy