কথা দিয়েছিলেন। সেই কথা রাখলেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। পুলওয়ামায় নিহত জওয়ানের মেয়ের বিয়েতে উপস্থিত হয়ে পালন করলেন মামার কর্তব্য। রাজস্থানের কোটায় শুক্রবার বসেছিল বিয়ের আসর। ওম সেখানকারই সাংসদ। বিয়েতে হাজির হয়ে স্থানীয় ‘ভাত’ বা ‘মাইরা’ রীতি পালন করেন তিনি, যা কনের মামাদের কর্তব্য।
২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় নিহত হয়েছিলেন সিআরপিএফ জওয়ান হেমরাজ মিনা। তাঁর কন্যা রিনা মিনার বিয়েতে উপস্থিত হন ওম। ‘ভাত’ বা ‘মাইরা’-র রীতি মেনে তিনি রিনার মা মধুবালা মিনাকে ওড়না জড়িয়ে কিছু উপহার দেন। ওমের সঙ্গে ছিলেন রাজস্থানের বিদ্যুৎমন্ত্রী হীরালাল নাগার। তাঁদের পাল্টা তিলক পরিয়ে দেন মধুবালা। আরতি করে বরণও করেন।
আরও পড়ুন:
জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জওয়ানদের কনভয় লক্ষ্য করে হামলা হয়েছিল। তাতে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৪০ জন জওয়ান। আহত হন ৩৫ জন। পাকিস্তানের জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-এ-মহম্মদ হামলার দায় নিয়েছিল। নিহত জওয়ানদের মধ্যে এক জন ছিলেন হেমরাজ। পুলওয়ামার ঘটনার পরে কোটায় গিয়ে হেমরাজের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন ওম। তিনি হেমরাজের স্ত্রী মধুবালাকে প্রতিশ্রুতি দেন, তাঁর দাদার মতোই পাশে থাকবেন। সেই থেকে ওমকে রাখি পরাতেন মধুবালা। এ বার হেমরাজ এবং মধুবালার কন্যা রিনার বিয়েতে তাঁর মামার কর্তব্য পালন করলেন লোকসভার অধ্যক্ষ। শহিদ জওয়ানের মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘হেমরাজের সাহস এবং দেশের প্রতি ভালবাসা আমাদের অনুপ্রেরণা জোগায়। ওঁর পরিবারের পাশে দাঁড়ানো আমার কর্তব্য।’’