ছবি পিটিআই।
দু’জনের মধ্যে দূরত্ব বড় জোর দশ ফুট। দু’টি সোফায় দু’জনে। কিন্তু কেউ কারও সঙ্গে বাক্য বিনিময় করা তো দূরস্থান, তাকালেনও না! লোকসভা অধিবেশনের শেষ দিনে স্পিকারের ডাকা বিভিন্ন দলনেতাদের সৌজন্য সমাবেশে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গাঁধী এ রকম যুযুধান হয়েই রইলেন বলে সূত্রের খবর। উপস্থিত ছিলেন সরকারের দু’নম্বর ব্যক্তি অমিত শাহ-ও। তাঁর সঙ্গেও বাক্য বিনিময় করতে দেখা যায়নি সনিয়াকে। মোদী-শাহও কথা বলতে ‘এগিয়ে যাননি’। সূত্রের খবর, গোটা বৈঠক জুড়ে ছিল এক ‘অস্বস্তিকর নীরবতা’।
তৃণমূল সূত্রের দাবি, ওই নীরবতা ভাঙার কাজটি করেন উপস্থিত দুই লোকসভার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সৌগত রায়। সুদীপবাবু অধিবেশন শুরুর ঠিক আগে প্রধানমন্ত্রীর হাতে রাজ্যকে আরও প্রতিষেধক দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়ে একটি চিঠি দিয়েছিলেন। আজ প্রধানমন্ত্রীর কাছে সুদীপবাবু জানতে চান, বিষয়টি কিছুটা এগিয়েছে কি না। সৌগত রায় গিয়ে একই প্রসঙ্গ তোলেন। পরে সৌগতবাবু বলেন, “জবাবে প্রধানমন্ত্রী আমাদের হালকা চালে বলেন, আপনারাই তো আমাকে ডোজ় দিচ্ছেন!”
স্পিকারের এই আমন্ত্রণে চায়ের সঙ্গে ‘টা’ হিসেবে ছিল ধোকলা এবং মিষ্টি। কিন্তু জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী কিছুই মুখে তোলেননি। কিছু খাননি সনিয়াও। সূত্রের খবর, উপস্থিত কংগ্রেসের লোকসভার নেতা অধীর চৌধুরী বলেন, সৌগতবাবু খাদ্যরসিক। ওঁর কিছু খাওয়া উচিত। সুদীপবাবুও বলেন, সৌগতবাবু সংসদীয় নিয়মবিধি এবং খাদ্য দু’টোই পছন্দ করেন! সৌগতবাবু নিজেও পরে বলেন,
“কেউ কিছুই মুখে তুলছে না দেখে আমি-ই খেলাম!”
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপচারিতায় সৌগত রায় জানতে চেয়েছেন, তাঁর পরবর্তী বিদেশ সফরের পরিকল্পনা। সৌগতবাবুর কথায়, “মোদী আমায় জানালেন যে কোভিডের জন্য তাঁর বিদেশ সফর অনিশ্চিত। পরিস্থিতি ঠিক থাকলে, সেপ্টেম্বরে দেশের বাইরে যেতে পারেন। আমি আরও জানতে চাই, অমিত শাহ কেন কোভিডের বৈঠক ডাকছেন? প্রধানমন্ত্রী জানান, সাধারণ ভাবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিষয়টি দেখছেন। কিন্তু কোভিড যে-হেতু জাতীয় বিপর্যয় আইনের আওতায়, তাই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ভূমিকা পালন করছেন অমিত শাহ।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy