প্রেমিক শ্যারন রাজের সঙ্গে গ্রীষ্মা। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
২০২২ সালের ঘটনা। প্রেমিককে ‘পথ’ থেকে সরাতে বিষ খাইয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে প্রেমিকার বিরুদ্ধে। সেই মামলায় সোমবার দোষী প্রেমিকাকে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি শোনাল তিরুঅনন্তপুরমের এক আদালত। শাস্তি শোনানোর সময় বিচারক বলেন, ‘‘নিজের ভালবাসার মানুষকে ঠকিয়েছেন দোষী। যা সমাজের কাছে ভাল বার্তা পাঠায়নি।’’
দোষী গ্রীষ্মা কন্যাকুমারীর বাসিন্দা। ২০২১ সালে তিরুঅনন্তপুরমের পরসালার বাসিন্দা শ্যারন রাজের সঙ্গে গ্রীষ্মার প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। সব ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু ২০২২ সালে সামরিক অফিসারের সঙ্গে তরুণীর বিয়ে ঠিক করে তাঁর পরিবার। বিয়েতে রাজিও হয়ে গিয়েছিলেন গ্রীষ্মা। কিন্তু কী ভাবে সম্পর্ক ভেঙে বেরোবেন বুঝতে পারছিলেন না। এর পরেই প্রেমিককে খুনের পরিকল্পনা করেন তিনি।
শুনানি চলাকালীন আদালতে পুলিশ জানায়, শ্যারনকে খুনের জন্য ইন্টারনেটে নানা তথ্য ঘেঁটেছিলেন গ্রীষ্মা। একটু একটু করে শ্যারনকে ওষুধ মেশানো পানীয় খাওয়ানো শুরু করেন তিনি। কিন্তু কোনও ফল না-হওয়ায় ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে শ্যারনকে নিজের বাড়িতে ডাকেন গ্রীষ্মা। তাঁকে কীটনাশক মেশানো পানীয় খেতে দেন। বাড়ি ফিরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেই রাতেই শ্যারনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পর দিন বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনায় গ্রীষ্মাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুধু তাঁকে একা নয়, গ্রীষ্মার কাকা এবং মামাকে খুনের ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।
বিচারক সোমবার সাজা ঘোষণার সময় জানান, এই ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম। গ্রীষ্মাকে ম়ৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনানোর পাশাপাশি বিচারক তাঁর কাকা নির্মূল কুমারকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। বিচারক জানান, নির্মূলের বিরুদ্ধে ওঠা খুনের সহযোগিতা করা এবং প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগ প্রমাণিত। তবে এই মামলায় ধৃত গ্রীষ্মার মাকে বেকসুর খালাস করেন দেন বিচারক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy