কঙ্গনা রানাউত এবং সঞ্জয় রাউত। —ফাইল চিত্র ।
কেউ ভোট দেয়, আবার কেউ চড় মারে! কারও মা যদি কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকেন এবং কেউ যদি এই নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন, তা হলে ক্ষোভ তৈরি হওয়া স্বাভাবিক। অভিনেত্রী তথা ভাবী সাংসদ কঙ্গনা রানাউতকে থাপ্পড় মারার ঘটনায় তেমনটাই মন্তব্য উদ্ধবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতের। হিমাচল প্রদেশের মণ্ডী থেকে বিজেপির টিকিটে এ বার ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন কঙ্গনা। ওই কেন্দ্র থেকে ৭০ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছেন। তাঁর প্রতিপক্ষ ছিলেন হিমাচল কংগ্রেসের অন্যতম শীর্ষনেতা বিক্রমাদিত্য সিংহ। এর পর বৃহস্পতিবার চন্ডীগড় বিমানবন্দরে চড় খান কঙ্গনা। বলাইবাহুল্য, এই দুই ঘটনাকেই এক সূত্রে গেঁথে ওই মন্তব্য করেছেন সঞ্জয়।
উল্লেখ্য, এই ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার। বৃহস্পতিবার চণ্ডীগড় থেকে দিল্লি যাচ্ছিলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা। বিকেলে ভিস্তারার বিমান ধরতে চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে পৌঁছন তিনি। নিরাপত্তা তল্লাশির সময় তাঁর মোবাইল একটি ট্রে-তে রাখতে বলা হলে কঙ্গনা না কি রাজি হননি। তখনই বিমানবন্দরে কর্তব্যরত এক সিআইএসএফ কনস্টেবল কুলবিন্দর কউরের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তাঁর। কুলবিন্দর সপাটে কঙ্গনাকে থাপ্পড় মারেন বলে অভিযোগ। কুলবিন্দরের দাবি, তাঁর মা কৃষক আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন। কৃষক আন্দোলনের সময়ে কঙ্গনার একটি মন্তব্য তাই তিনি মেনে নিতে পারেননি। এই জন্য বিমানবন্দরে কঙ্গনাকে দেখে তাঁর মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল। আর সে কারণেই কঙ্গনাকে তিনি থাপ্পড় মেরেছেন বলে জানিয়েছেন কুলবিন্দর। এই ঘটনায় দেশ জুড়ে হইচই পড়ে গিয়েছে।
এই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় সঞ্জয় বলেন, ‘‘কেউ ভোট দেয়, কেউ থাপ্পড় দেয়। আসলে কী হয়েছে, আমি জানি না। কনস্টেবল যদি বলে থাকেন যে, ওঁর মা আন্দোলনে বসেছিলেন, তা হলে তা সত্যি। যদি ওঁর মা কৃষকের আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকেন এবং কেউ এর বিরুদ্ধে কিছু বলেন, তা হলে ক্ষোভ তৈরি হওয়া স্বাভাবিক।
সঞ্জয় আরও বলেন, ‘‘কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত ছিলেন, তাঁরা ভারতেরই ছেলে-মেয়ে। কেউ যদি ভারত মাকে অপমান করে এবং তাতে কেউ ক্ষুব্ধ হয়, তা হলে তা ভাবার বিষয়। কঙ্গনার প্রতি আমার সহানুভূতি আছে। এক জন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে আক্রমণ করা উচিত হয়নি। তবে কৃষকদেরও সম্মান করা উচিত।’’
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত সিআইএসএফ কনস্টেবল কুলবিন্দরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দিল্লি বিমানবন্দরে নেমেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে কুলবিন্দরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। এর পরেই কুলবিন্দরের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়। তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলে। সাসপেন্ডও করা হয় ওই কর্মীকে। পরে গ্রেফতার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy