কঙ্গনাকে চড় মারার পর থেকেই কুলবিন্দরকে নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। সমাজমাধ্যমেও তাঁকে নিয়ে চর্চা চলছে। কেউ তাঁর সমর্থনে গলা ফাটাচ্ছেন, আবার জনপ্রতিনিধিকে চড় মারার জন্য তাঁকে দুষছেন কেউ কেউ।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতাশেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০২৪ ১৬:১৮
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৯
সদ্য লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হওয়া কঙ্গনা রানাউতকে সপাটে চড় মেরে দেশ জুড়ে হইচই ফেলে দিয়েছেন কুলবিন্দর কউর।
০২১৯
তবে ভাবী সাংসদ তথা অভিনেত্রীকে চড় মারার খেসারতও দিতে হয়েছে চণ্ডীগড় বিমানবন্দরের মহিলা নিরাপত্তারক্ষীকে। চড়কাণ্ডে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
০৩১৯
তবে কঙ্গনাকে চড় মারার পর থেকেই কুলবিন্দরকে নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। সমাজমাধ্যমেও তাঁকে নিয়ে চর্চা চলছে। কেউ তাঁর সমর্থনে গলা ফাটাচ্ছেন, আবার জনপ্রতিনিধিকে চড় মারার জন্য তাঁকে দুষছেন কেউ কেউ।
০৪১৯
কুলবিন্দর পঞ্জাবের সুলতানপুর লোধির বাসিন্দা।
০৫১৯
২০০৯ সালে সিআইএসএফ-এ যোগ দেন কুলবিন্দর। বিগত তিন বছর ধরে চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে কর্মরত তিনি।
০৬১৯
২০২১ সালে চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে বিমান নিরাপত্তাকর্মী হিসাবে কাজ করছেন।
০৭১৯
কুলবিন্দরের স্বামীও সিআইএসএফ জওয়ান। তিনিও চণ্ডীগড় বিমানবন্দরেই কর্মরত। ৩৫ বছর বয়সি কুলবিন্দরের দুই সন্তান রয়েছে।
০৮১৯
কুলবিন্দরের ভাই শের সিংহ একজন কৃষক নেতা। ‘কিসান মজদুর সংগ্রাম কমিটি’র সম্পাদক তিনি।
০৯১৯
উল্লেখ্য যে, সিআইএসএফ কর্তারা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত বাহিনীতে কুলবিন্দরকে কোনও তদন্তের মুখে পড়তে হয়নি। কোনও শাস্তিও পেতে হয়নি তাঁকে। কঙ্গনাকে চড় মেরে এই প্রথম তিনি বিতর্কে জড়ালেন।
১০১৯
বৃহস্পতিবার চণ্ডীগড় থেকে দিল্লি যাচ্ছিলেন কঙ্গনা। বিকেলে ভিস্তারার বিমান ধরতে চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে পৌঁছেছিলেন। সেখানে পরীক্ষার জন্য একটি ট্রে-তে তাঁর ফোন রাখতে বলা হলে কঙ্গনা না কি রাজি হননি। তখনই কুলবিন্দরের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তাঁর।
১১১৯
তখনই কুলবিন্দর সপাটে কঙ্গনাকে থাপ্পড় মারেন বলে অভিযোগ। দিল্লি বিমানবন্দরে নেমেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে কুলবিন্দরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান কঙ্গনা। এর পরেই কুলবিন্দরের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়। তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলে। সাসপেন্ডও করা হয়।
১২১৯
কিন্তু কেন কুলবিন্দর চড় মারলেন অভিনেত্রীকে? তার উত্তর দিয়েছেন সিআইএসএফ জওয়ান নিজেই।
১৩১৯
কুলবিন্দর জানান, কৃষক আন্দোলনের সময়ে কঙ্গনার একটি মন্তব্য তিনি মেনে নিতে পারেননি। বিমানবন্দরে তাঁকে দেখে তাই তাঁর মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল। ইচ্ছা করেই কঙ্গনাকে থাপ্পড় মেরেছেন বলে জানান তিনি।
১৪১৯
উল্লেখ্য, কৃষক আন্দোলন চলাকালীন কঙ্গনা এক বার বলেছিলেন, ১০০ টাকার বিনিময়ে আন্দোলন করতে বসেছেন কৃষকেরা। এই মন্তব্যের জেরেই ক্ষুব্ধ হন কুলবিন্দর। কুলবিন্দর জানান, তাঁর মা-ও কৃষক আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন।
১৫১৯
অভিযুক্ত সিআইএসএফ কনস্টেবলের দাবি, টাকার বিনিময়ে আন্দোলন করার কথা বলে কৃষকদের অপমান করেছেন কঙ্গনা। সেই কারণেই তিনি তাঁকে সামনে পেয়ে থাপ্পড় মেরেছেন।
১৬১৯
তবে চড় খাওয়া নিয়ে সমাজমাধ্যমেও সরব হয়েছেন কঙ্গনা। তাঁর অভিযোগ, ওই মহিলা কৃষক আন্দোলনের সমর্থক। তাই তাঁকে আক্রমণ করেছেন।
১৭১৯
এ প্রসঙ্গে একটি ভিডিয়োবার্তায় কঙ্গনা বলেন, ‘‘আমার কাছে অনেক ফোন আসছে। প্রথমেই জানাই, আমি ভাল আছি। আজ চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে নিরাপত্তা তল্লাশির পর আমি যখন বেরোলাম, পাশের একটি কেবিন থেকে এক মহিলা নিরাপত্তারক্ষী বেরিয়ে এসে পাশ থেকে আমার গালে থাপ্পড় মারেন। আমাকে গালিগালাজও করেন। আমি ওঁকে যখন জিজ্ঞেস করলাম, কেন উনি এমন করলেন, উনি বললেন, উনি কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করেন। আমি নিরাপদে আছি। কিন্তু পঞ্জাবে যে ভাবে আতঙ্কবাদ এবং উগ্রবাদ বেড়ে চলেছে, তা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন।’’
১৮১৯
উল্লেখ্য, হিমাচল প্রদেশের মণ্ডী থেকে বিজেপির টিকিটে এ বার ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন কঙ্গনা। তিনি মণ্ডীরই কন্যা। ওই কেন্দ্র থেকে ৭০ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছেন। তাঁর প্রতিপক্ষ ছিলেন হিমাচল কংগ্রেসের অন্যতম শীর্ষনেতা বিক্রমাদিত্য সিংহ।
১৯১৯
প্রথম বার ভোটে লড়েই বিক্রমাদিত্যকে হারিয়ে দিয়েছেন কঙ্গনা। মণ্ডীতে তিনি পাঁচ লক্ষাধিক ভোট পেয়েছেন। এর মধ্যেই সিআইএসএফের নিরাপত্তাকর্মীর কাছে চড় খেয়ে বিতর্কে জড়ালেন তিনি।