Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Uttar Pradesh

বুদ্ধিমান ক্যামেরা বসছে লখনউ জুড়ে, মেয়েদের বিপদ দেখলেই খবর দেবে পুলিশে

লখনউয়ের পুলিশ কমিশনার ডি কে ঠাকুর জানিয়েছেন, এআই-চালিত ক্যামেরা বসানোর জন্য শহরের ২০০টি ‘হটস্পট’ চিহ্নিত করা হয়েছে।

লখনউয়ে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তিতে তৈরি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসন।

লখনউয়ে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তিতে তৈরি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসন। প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
লখনউ শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২১ ১৩:৪৮
Share: Save:

প্রকাশ্য রাস্তায় কোনও মহিলা দুর্দশায় পড়লে, তার চোখমুখের হাবভাব দেখেই ধরে ফেলবে ‘স্মার্ট’ ক্যামেরা। এমনকি, ওই মহিলাকে সাহায্য করার জন্য সেই তথ্য পুলিশের কাছেও চলে যাবে। উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউয়ে এমন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তিতে তৈরি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসন। সাম্প্রতিক অতীতে নারী নির্যাতন নিয়ে যোগী রাজ্যের প্রশাসন প্রশ্নের মুখে। হাথরস, বদায়ূঁ-র পরও একাধিক ঘটনা সে রাজ্যে ঘটেছে। এই আবহে লখনউয়ে এমন ক্যামেরা বসানোর পদক্ষেপ তাৎপর্যপূর্ণ। কিন্তু একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠছে, গোটা রাজ্যে যখন নারী নির্যাতনের ঘটনা মারাত্মক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, তখন শুধু লখনউয়ে এমন ক্যামেরা বসানো কতটা যুক্তিযুক্ত।

বুধবার লখনউয়ের পুলিশ কমিশনার ডি কে ঠাকুর জানিয়েছেন, এআই-চালিত ক্যামেরা বসানোর জন্য শহরের ২০০টি ‘হটস্পট’ চিহ্নিত করা হয়েছে। মূলত, যে জায়গাগুলিতে মহিলাদের বেশি যাতায়াত অথবা পুলিশের কাছে অভিযোগ জমা পড়ে, সে সব জায়াগায় প্রাথমিক ভাবে ওই ধরনের ‘স্মার্ট’ ক্যামেরা বসানো হবে।

কী ভাবে কাজ করবে এআই-চালিত ক্যামেরা? পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘‘যদি রাস্তায় কোনও মহিলার পিছু ধাওয়া করা হয়, বা তাঁকে তাড়া করা হয়, তবে তাঁর চোখমুখের হাবভাবে বদল আসবে। ওই অভিব্যক্তি দেখামাত্র সেই তথ্য পুলিশের কাছে পাঠিয়ে দেবে ‘স্মার্ট’ ক্যামেরা। মহিলা সাহায্য চাওয়ার আগেই স্বয়ংক্রিয় ভাবে তা উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ইমার্জেন্সি হেল্পলাইন নম্বর ১১২-এ চলে যাবে।’’ এ ভাবে বিপদে পড়া মহিলাদের সঙ্গে সঙ্গে সাহায্য করা যাবে বলে মনে করে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন।

যদিও মহিলাদের সুরক্ষায় উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের এই পদক্ষেপ সমালোচনার হাত থেকে রেহাই পায়নি। ইন্টারনেটের স্বাধীনতা তথা তথ্যের অধিকার নিয়ে সরব পরামর্শদাতা অনুষ্কা জৈনের মতে, এই ধরনের ক্যামেরা বসানোটা মূর্খামির শামিল। সুরক্ষার বদলে উল্টে মহিলারা এতে পুলিশি হেনস্থার শিকার হতে পারেন। তাঁর কথায়, ‘‘কোনও মহিলা যদি রেগে যান বা তাঁর মুখে দুশ্চিন্তার ছাপ ফুটে ওঠে, তার মানে এই নয় যে ওই মহিলার পুলিশি সাহায্যের প্রয়োজন রয়েছে। এমনটাই তো হতে পারে যে আমি বন্ধুর সঙ্গে কথা বলতে বলতে তাঁর উপর রেগে গিয়েছি অথবা ভেঙে পড়েছি। এবং সেই অভিব্যক্তিও ক্যামেরা ভুল ভাবে ধরা হতে পারে।’’ অনুষ্কার দাবি, ‘‘ফলে আমরা জানি না, কোন অভিব্যক্তি ধরা হবে এবং সেই অভিব্যক্তির অন্তর্নিহিত ভাব এআই-চালিত ক্যামেরা কতটা নিখুঁত ভাবে ধরতে পারবে!’’

সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের মহিলাদের বিরুদ্ধে একের পর এক অপরাধের ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়েছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। তবে এ ধরনের অপরাধ কমাতে এআই-চালিত ক্যামেরা কার্যকরী ভূমিকাই নেবে বলে মনে করছে রাজ্য প্রশাসন। এআই-চালিত ক্যামেরা বসানো ছাড়াও শহর জুড়ে ৩১টি গোলাপি বুধ, ১০টি টহলদারি গাড়ি এবং মহিলা পুলিশ আধিকারিক চালিত ১০০টি স্কুটিও মহিলাদের সুরক্ষায় মোতাতেন থাকবে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy