বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী জানিয়েছেন, পাক হেফাজতে ছয় ভারতীয় বন্দির মৃত্যু হয়েছে। —ফাইল ছবি।
পাকিস্তান দাবি করেছিল, ছয় ভারতীয় মৎস্যজীবীকে ডুবে যাওয়া থেকে বাঁচিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই দাবি এক প্রকার উড়িয়ে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক জানাল, গত ন’মাসে পাকিস্তানের হেফাজতে ছয় ভারতীয় বন্দির মৃত্যু হয়েছে। যাঁদের মধ্যে পাঁচ জন মৎস্যজীবী। পরিস্থিতি ‘উদ্বেগজনক’ বলেও বর্ণনা করেছে মন্ত্রক।
সংবাদ মাধ্যমকে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, ‘‘সম্প্রতি মৎস্যজীবীদের মৃত্যু বেড়েছে। পাক হেফাজতে ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে পাঁচ জনই মৎস্যজীবী। সাজা শেষ হওয়ার পরেও তাঁদের বেআইনি ভাবে আটক করে রেখেছিল পাকিস্তান।’’ তাঁর কথায়, ‘‘এই ঘটনা উদ্বেগজনক। ইসলামাবাদে আমাদের হাইকমিশন এই বিষয়টি তুলেছে। ভারতীয় বন্দিদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা বজায় রাখতে বাধ্য পাকিস্তান।’’
প্রসঙ্গত, শুক্রবারই পাকিস্তান দাবি করে, দুই দেশের মাঝে আন্তর্জাতিক জলসীমার কাছে ছয় ভারতীয় মৎস্যজীবী ডুবে যাচ্ছিলেন। তাঁদের রক্ষা করেছে পাকিস্তান। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পাক উপকূলীয় নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী (পিএমএসএ) টহল দিচ্ছিল। তখনই ওই ছয় মৎস্যজীবীকে দেখতে পান নিরাপত্তা রক্ষীরা। পিএমএসএর তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, তখনই উদ্ধার অভিযানে নামে তারা। ছ’জনকে উদ্ধার করে ভারতীয় উপকূলরক্ষী জাহাজে তুলে দেওয়া হয়।
মৎস্যজীবীদের আটক করা নিয়ে প্রায়ই একে অপরের দিকে আঙুল তুলে থাকে দুই দেশ। পাল্টা দুই দেশই যুক্তি দেয়, সীমান্ত পেরিয়ে আসার কারণেই আটক করা হয় মৎস্যজীবীদের। প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারিতে গুজরাতের ৫০ বছরের এক মৎস্যজীবীর পাকিস্তানের জেলে মৃত্যু হয়। তাঁর নাম জয়ন্তী সোলাঙ্কি। মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। গত জুলাইয়ে গির সোমনাথ জেলার আর এক মৎস্যজীবী কালু সিয়ালের মৃত্যু হয় পাকিস্তানের জেলে। ২০১৮ সালের জুনে আন্তর্জাতিক জলসীমা লঙ্ঘনের জন্য আটক করা হয়েছিল তাঁকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy