শুনেই রোখ চেপে যায় আদিত্যর। তিনি ঠিক করেন, ওই শিশুকেই দত্তক নেবেন। কিন্তু তখন আদিত্যর বয়স ২৭ বছর। আইন অনুযাযী, সে সময় ৩০ বছর বয়স না হলে সিঙ্গল পেরেন্ট হওয়ার অনুমতি মিলত না। এর পর বেশ কয়েক মাস অপেক্ষা ও আইনি যুদ্ধের পরে অবশেষে সেই শিশুটিকে দত্তক নেন আদিত্য। নাম দেন ‘অবনীশ’। বাইশ মাস বয়সি অবনীশকে বাড়িতে আনেন আদিত্য।
প্রথম থেকেই চলার পথ বন্ধুর। কিন্তু হার মানেননি আদিত্য। জানিয়েছেন, যখন তিনি সিঙ্গল ফাদার হিসেবে অবনীশকে মানুষ করতে চেয়ে আবেদন করেন, তখন তাঁকে সহজে সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি। আসলে কোনও এক মা সন্তানকে বড় করছেন সেটা যতটা সহজে মানুষ গ্রহণ করেন, এক জন পুরুষ একা সেই কাজটা করবেন, এটা সহজে কেউ বিশ্বাস করতে চান না।
আদিত্য এখন বিশেষ ভাবে সক্ষম শিশুদের বাবা-মায়েদের পরামর্শ দেওয়ার কাজ করেন। সারা পৃথিবীর পাঁচ হাজারের বেশি এমন বাবা-মায়ের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ আছে, যাঁদের ঘরে ডাউন সিন্ড্রোম আক্রান্ত শিশু আছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের সম্মেলনেও আমন্ত্রিত ছিলেন আদিত্য। যেখানে এই ধরনের বিশেষ শিশুদের সযত্নে বড় করে তোলার বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy