প্রতীকী ছবি।
উপরাষ্ট্রপতি পদে ভোটদানে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে তৃণমূলের কড়া সমালোচনা করল শিবসেনা-র মুখপত্র সামনা। ইডি-সিবিআইয়ের ভয়েই তৃণমূল উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী জোটের প্রার্থীকে সমর্থনে পিছিয়ে গেল কি না, তা নিয়ে ঘুরিয়ে প্রশ্ন তুলেসামনা-র সম্পাদকীয়তে অভিযোগ করা হয়েছে, তুচ্ছ কারণ দেখিয়ে তৃণমূল উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদানে বিরত থেকেছে।
ইডি শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতকে গ্রেফতারের পরে উদ্ধব ঠাকরেই এখন মুখপত্রের সম্পাদক। রাজনৈতিক শিবির তাই মনে করছে, সামনা-র মুখপত্রের সম্পাদকীয় আসলে উদ্ধব ঠাকরেরই বক্তব্য। মহারাষ্ট্রে বিজেপি ইডি-সিবিআইকে কাজে লাগিয়েই শিবসেনা ভেঙে তাঁর সরকার ফেলে দিয়েছে বলে উদ্ধবের অভিযোগ। সামনা-র সম্পাদকীয়তে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের তুলনা টেনে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের মতো কংগ্রেসের বিরুদ্ধেও ইডি-সিবিআই সক্রিয়। কিন্তু কংগ্রেস নেতৃত্ব রাস্তায় নেমে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন।
উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জগদীপ ধনখড়ের জয়ের পরেই বিরোধী জোটের প্রার্থী মার্গারেট আলভা বলেছিলেন, ‘‘তৃণমূল ভোটদানে বিরত থেকে আসলে বিজেপিরই হাত শক্ত করেছে। বিরোধী ঐক্যের বিরুদ্ধে কাজ করেছে।’’ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশও তৃণমূলের সিদ্ধান্তকে ‘ভুল’ বলে বর্ণনা করেছিলেন। কংগ্রেসের অভিযোগ, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই নিয়ে সনিয়া গান্ধী, শরদ পওয়ার তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। অথচ তার পরেও তৃণমূল বিরোধী বৈঠকে যোগ না দিয়ে, তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়নি বলে ভোটদানে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। আজ সামনা-র সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ‘‘এটা খুবই গুরুতর বিষয় যে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তৃণমূলের সাংসদেরা ভোট দেননি। তা-ও খুব তুচ্ছ বিষয়কে অজুহাত করে।ইডি-সিবিআইয়ের কার্যকলাপ পশ্চিমবঙ্গে বাড়ছে। রাহুল ও সনিয়া গান্ধীকেও ইডি নিশানা করছে। তা সত্ত্বেও তাঁরা রাস্তায় নেমে মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্বের বিরুদ্ধে লড়ছেন।’’ শিবসেনার মতে, এখন নিজেদের মতভেদ ভুলে বিরোধী দলগুলিকে এককাট্টা হতে হবে। বিরোধীদের বিভাজনই বিজেপির শক্তি।
তাৎপর্যপূর্ণ হল, সঞ্জয় রাউতের বিরুদ্ধে ইডি-র পদক্ষেপের নিন্দা করে তৃণমূল একে বিজেপির প্রতিহিংসার রাজনীতি বলেছিল। তার পরেও শিবসেনার তোপের জবাবে তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শিবসেনার মুখপত্রে কী বলল, আমাদের কিছু যায় আসে না। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময়ে তৃণমূল নেত্রীই বিরোধী ঐক্য গড়ে তুলতে সব রকম চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কোনও ভাবেই তাঁর সঙ্গে সহযোগিতা করা হয়নি। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী নিয়ে ন্যূনতম আলোচনা পর্যন্ত করা হয়নি। শিবসেনা নিজেই তো বহুদিন বিজেপির সঙ্গে ছিল। মুখ্যমন্ত্রিত্বের জন্য উদ্ধব ঠাকরে বিজেপির সঙ্গ ছেড়েছিলেন। এখনও শিবসেনার একটা অংশ বিজেপির সঙ্গে। শিবসেনার থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার প্রয়োজন নেই।’’
তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘‘আমরা নিজেরা কথা বলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তার পিছনেযথেষ্ট যুক্তি ছিল। এই ঘটনা এখন অতীত। এ নিয়ে আর আলোচনা করতে চাই না।’’
নাম না করে শরদ পওয়ারেরও সমালোচনা করা হয়েছে শিবসেনার মুখপত্রে। পওয়ার মহারাষ্ট্রে বিরোধী জোট গঠনে মূল ভূমিকা নিয়েছিলেন। কিন্তু শিবসেনার মতে, মহারাষ্ট্রে ইডি-সিবিআইকে কাজে লাগিয়ে জোট সরকার ফেলার পরেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অপব্যবহার নিয়ে এনসিপি নীরব। মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্বের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের প্রতিবাদে যোগ না দেওয়ার জন্যও শিবসেনা এনসিপি-র সমালোচনা করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy