শরদ পওয়ার। —ফাইল চিত্র।
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লির ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চের বৈঠকে বিরোধীদের প্রধানমন্ত্রী-মুখ হিসেবে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের নাম প্রস্তাব করার পর বিতর্ক এবং কথার স্রোত থামছে না। এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার তাতে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন ১৯৭৭ সালের রাজনীতির প্রসঙ্গ তুলে। তাঁর মতে, “সাতাত্তরেও প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর কোনও নাম ঘোষণা করা হয়নি। পরে মোরারজি দেশাই প্রধানমন্ত্রী হন। বস্তুতপক্ষে একটি নতুন দলই তৈরি হয়েছিল। মোরারজি দেশাইয়ের নাম কোথাও ছিল না। তা-ও তিনি প্রধানমন্ত্রী হন। তাই ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম যদি ঘোষণা না করা হয়, কিছু এসে যায় না। মানুষ যদি চান যে তাঁরা পরিবর্তন আনবেন, তাঁরা সেই সিদ্ধান্ত এমনিতেই নেবেন।”
পওয়ারের এই মন্তব্যের প্রকাশ্য প্রতিক্রিয়া দিয়ে তৃণমূল অবশ্য বিতর্ক আরও বাড়াতে চায়নি। তবে তৃণমূল সূত্রের বক্তব্য, ‘প্রত্যেক নেতাই নিজস্ব মতামত তুলে ধরতে পারেন। প্রত্যেকের আলাদা মতামত থাকতেই পারে। কিন্তু এই মুহূর্তে আমাদের মূল লক্ষ্য, ইন্ডিয়া শরিকদের মধ্যে আসন সমঝোতা। এটা আগে হোক, তারপর বাকি সব দেখা যাবে। আমরা ১৭৯ দিন অপেক্ষা করেছি। তৃণমূল চাইছে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আসন রফার বিষয়টি শেষ করা হোক।‘
তবে বিজেপি-র মুখপাত্র শেহজাদ পুনেওয়ালা পওয়ারের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বলেছেন, “খড়্গেকে প্রধানমন্ত্রী মুখ হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টায় কংগ্রেসও খুশি নয়। ‘ইন্ডিয়া’র মধ্যে ভাঙনের চিহ্ন সামনে চলে এসেছে।”
সূত্রের খবর, এর আগে মমতার ওই প্রস্তাব নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। পরে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী নিজে ফোন করে নীতীশকে শান্ত করেন। এ বার শরদ প্রকাশ্যে সেই প্রস্তাব খারিজ করলেন। তবে নীতীশ পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য বলেছেন, “আমার কোনও হতাশা নেই, বিরোধিতাও নেই। যখন বৈঠকে নেতৃত্বের প্রসঙ্গ ওঠে, আমি জানিয়েই দিয়েছিলাম যে এ ব্যাপারে আমার উৎসাহ নেই। যখন অন্য নাম প্রস্তাবিত হল, তাতে আমার কোনও আপত্তি থাকার কথা নয়।“
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy