এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার। —ফাইল চিত্র।
জরুরি অবস্থার সময় ১৯৭৭-এর লোকসভা নির্বাচনেও বিরোধী শিবিরের মুখ হিসেবে কোনও এক জন নেতা ছিলেন না। কিন্তু দেশের মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে মনস্থির করে ফেলেছিলেন বলে আজ মনে করিয়ে দিলেন শরদ পওয়ার। এনসিপি প্রধান আজ ইঙ্গিত দিয়েছেন, বিরোধী শিবির বৈঠক করে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানাতে একটি অভিন্ন কর্মসূচি তৈরি করার চেষ্টা করবে। যে কর্মসূচি নিয়ে গোটা দেশে প্রচার করা হবে। এ সবের পাশাপাশি পওয়ার আজ বলেছেন, যেখানে বিজেপি শক্তিশালী, সেখানে সব বিরোধী দল মিলে এক জনকেই প্রার্থী করার চেষ্টাকরা হবে।
আগামী ২৩ জুন পটনায় বিরোধী শিবিরের বৈঠক হতে চলেছে। বিরোধী শিবিরের প্রধানমন্ত্রীর মুখ কে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিজেপি বলেছে, অনেক প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার এককাট্টা হয়েছেন। মোদীকে সরানো ছাড়া তাঁদের আর কোনও লক্ষ্য নেই। আজ এনসিপি-র ২৫-তম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে পওয়ার বলেন, “আমার বিশ্বাস, দেশের বিরোধী দলগুলি এককাট্টা হয়ে এই নির্বাচনে লড়বেন, যাতে দেশে পরিবর্তন আসে। ১৯৭৭-এ ঠিক এমনই পরিস্থিতি ছিল। বিরোধী শিবিরের কোনও এক জন নেতা সামনে ছিলেন না। কিন্তু মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে মনস্থির করে ফেলেছিলেন। ফলে নির্বাচনের পরে জনতা পার্টির সরকার আসে। এখন সেই একই পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে।’’ পওয়ার বলেন, ‘‘বিভিন্ন দলের মতাদর্শ বিভিন্ন হলেও সামনে এগোনোর জন্য কর্মসূচি তৈরি করা জরুরি। ২৩ জুন বিহারে বৈঠক হবে। সেখানে কর্মসূচি তৈরি হবে। তার পরে সেই ‘পরিবর্তনের রূপরেখা’ দেশ জুড়ে ঘুরে ঘুরে মানুষের সামনে তুলে ধরা হবে।’’ পওয়ার জানান, দেশের মানুষ পরিবর্তনের জন্য সব বিরোধী দলকে সমর্থন করবে বলেই তাঁর বিশ্বাস।
বিজেপি আজ বিরোধী শিবিরের এই ঐক্য প্রচেষ্টা নিয়ে খোঁচা দিয়েছে। বিজেপির আইটি সেলের নেতা অমিত মালবীয়ের প্রশ্ন, পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের একমাত্র বিধায়ক সাগরদীঘির নির্বাচনের পরে তৃণমূলে যোগ দিলেন। পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের দুর্গ মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস কর্মী খুন হয়েছেন। রোজ তৃণমূল ও কংগ্রেস একে অপরকে গালিগালাজ করছে। এটাই কি বিরোধী ঐক্যের নমুনা? না কি সেটা শুধুই মিথ?
বিরোধী শিবির যখন ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছে, তখন বিজেপিও হাত গুটিয়ে বসে নেই। রবিবার ও সোমবার বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী, উপমুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। তার পরে বৃহস্পতিবার বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা বিজেপির সমস্ত লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির পাশাপাশি মোদী সরকারের নয় বছরের কাজ নিয়ে প্রচারে কেমন সাড়া মিলছে, তা নিয়েও আলোচনা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy