বেছে বেছে নাবালিকা স্কুলছাত্রীদের নিশানা করা হত। সমাজমাধ্যমে তাদের সঙ্গে আলাপ জমাতেন অভিযুক্তেরা। ক্রমে ঘনিষ্ঠতা বাড়ত। তার পরেই শুরু হত যৌন নির্যাতন। সম্প্রতি এমনই একের পর এক অভিযোগ উঠেছে রাজস্থানের বেওয়ার জেলায়। অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই তিন নাবালক-সহ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিদেরও খোঁজ চলছে।
আরও পড়ুন:
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বেওয়ার জেলার ছোট শহর মাসুদায় একাধিক স্কুলছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল। কোনও কোনও অভিযোগে আবার ওই নবালিকাদের ভুলিয়েভালিয়ে ধর্মান্তরণে প্ররোচনা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন স্থানীয়েরা। বিক্ষোভের জেরে জনসমাবেশ এড়াতে মাসুদা, বিজয়নগর, কেকদি, সারওয়াদ প্রভৃতি এলাকায় বাজার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, যার মধ্যে তিন নাবালকও রয়েছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, ‘নির্যাতিতা’ নাবালিকাদের পরিজনদের অভিযোগ, সমাজমাধ্যম মারফত ওই ছাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন অভিযুক্তেরা। ওই ছাত্রীদের প্রত্যেককেই মোবাইল ফোন উপহার দেওয়া হয়েছিল। সেই মোবাইলের মাধ্যমেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন অভিযুক্তেরা। তার পর নানা ভাবে তাদের ভুলিয়ে যৌন নির্যাতন করা হত। মাসুদার ডিএসপি সজ্জন সিংহ জানিয়েছেন, মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর হাকিম কুরেশিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। কোটদার একটি আদালত তাঁকে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন:
নির্যাতিতা এক কিশোরী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, তার কিছু অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ব্যবহার করে তাকে ‘ব্ল্যাকমেল’ করা হত। অন্তত ১৪-১৫ জন ছেলে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত ছিল। সে ছাড়াও তারই ক্লাসের আরও পাঁচ জন মেয়েকে একই ভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ধৃতদের ফোন থেকে ওই নাবালিকাদের কোনও আপত্তিকর ছবি পাওয়া যায়নি। বাজেয়াপ্ত করা ফোনগুলি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতরও। বেওয়ার এবং টঙ্কের ঘটনাগুলির উল্লেখ করে রাজ্যে নারীসুরক্ষা নিয়ে বিজেপি সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত।