Advertisement
E-Paper

আমেরিকার প্রিন্সটনে ভাইকে খুনের পর চোখ খুবলে খেলেন দাদা! খুন পোষ্য বিড়ালকেও

নিহতের দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। উপড়়ে নেওয়া হয়েছিল চোখও। পাশেই পড়েছিল রক্তমাখা থালা এবং চামচ— যা দেখে মনে হচ্ছিল, নিহতের শরীর থেকে মাংস খুবলে খেয়েছেন ‘খুনি’!

ধৃত ম্যাথিউ হার্টজেন।

ধৃত ম্যাথিউ হার্টজেন। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৬:০৪
Share
Save

নিজের ভাইকে নৃশংস ভাবে খুন করলেন দাদা! সম্প্রতি আমেরিকার প্রিন্সটনে ঘটনাটি ঘটেছে। সেখানকার এক বিলাসবহুল ফ্ল্যাট থেকে ২৬ বছরের ওই যুবকের দেহ উদ্ধার হয়েছে। ঘটনায় নিহতের ৩১ বছর বয়সি দাদাকে গ্রেফতার করেছে সে দেশের পুলিশ।

সংবাদমাধ্যম ‘দ্য নিউ ইয়র্ক পোস্ট’ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শনিবার গভীর রাতে নিজেই পুলিশকে ডেকেছিলেন নিহতের দাদা ম্যাথিউ হার্টজেন। পুলিশকে বলেছিলেন, রাতে বাড়ি ফিরে তিনি ভাইয়ের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেছেন। নিহতের দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। উপড়়ে নেওয়া হয়েছিল চোখও। পাশেই পড়েছিল রক্তমাখা থালা এবং চামচ— যা দেখে মনে হচ্ছিল, নিহতের শরীর থেকে মাংস খুবলে খেয়েছেন ‘খুনি’! সঙ্গে আধপোড়া অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল বাড়ির একমাত্র পোষ্য বিড়ালটির দেহও। অভিযোগ ও যাবতীয় তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ।

এই ঘটনার মাত্র কয়েক মাস আগেই সমাজমাধ্যমে একটি কবিতা পোস্ট করেছিলেন ম্যাথিউ, যেখানে ছুরি, শ্বাসরোধ করে খুন এবং চোখ থেকে রক্ত ঝরার দৃশ্যের বর্ণনা ছিল। এ সব দেখে তদন্তকারীরা মনে করছেন, দীর্ঘ দিন ধরেই ভাইকে খুনের পরিকল্পনা করছিলেন ম্যাথিউ। তদন্তে জানা গিয়েছে, ভাইয়ের চোখ উপড়ে নেওয়ার পর তা খেয়ে নিয়েছিলেন ওই যুবক। ঘটনার নৃশংসতা দেখে স্তম্ভিত পুলিশও। জনৈক পুলিশ আধিকারিকের কথায়, ‘‘ভয়াবহ ঘটনা, একই সঙ্গে অত্যন্ত দুঃখজনকও।’’

খবর প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে প্রিন্সটনের ওই এলাকায়। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ম্যাথিউদের বাবা ডেভিড একটি প্রযুক্তি সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মচারী ছিলেন, যাঁর বার্ষিক আয় প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার। প্রতিবেশীরা বলছেন, ‘‘ম্যাথিউদের পরিবার আমেরিকান। অভিজাত হলেও সাদামাঠা জীবনযাপন করত তারা।’’ এ হেন ম্যাথিউ যে এমন ঘটাতে পারেন, তা স্বপ্নেও ভাবেননি স্থানীয়েরা। ধৃতের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হয়েছে। নিহতের দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

USA Brother Cannibalism

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}