মণিপুরে রাস্তাঘাট ‘সচল’ হওয়ার প্রথম দিনেই ফের গোলমালের অভিযোগ। কাংপোকপি জেলায় যান চলাচল রুখতে পথ অবরোধ করেন কুকি জনগোষ্ঠীর কিছু মহিলা। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে নিরাপত্তা বাহিনী লাঠিচার্জ শুরু করে। তাতে বেশ কয়েক জন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে।
উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে বর্তমানে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি রয়েছে। মণিপুরের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন রাজ্যপাল অজয়কুমার ভল্লা। গত ২ মার্চ ভল্লা এবং অন্য আধিকারিকদের নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মণিপুরের পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন তিনি। বৈঠকের পরেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ৮ মার্চ থেকে মণিপুরের সব রাস্তা যেন সচল থাকে। রাজ্যের রাস্তাঘাটে সাধারণ মানুষ যেন বিনা বাধায় চলাচল করতে পারেন। কেউ রাস্তা আটকানোর চেষ্টা করলে কড়া পদক্ষেপেরও নির্দেশ দেয় মন্ত্রক।
তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কড়া নির্দেশ থাকার পরেও শনিবার পথ অবরোধের চিত্র ধরা পড়ল মণিপুরে। কুকি জনগোষ্ঠীর বিক্ষোভকারীরা শুরু থেকেই বলে আসছিলেন, তাঁদের দাবিদাওয়া পূরণ না-হওয়া পর্যন্ত রাস্তাঘাট সচল করা যাবে না। এই আবহেই শনিবার কাংপোকপি জেলায় কুকি জনগোষ্ঠীর অবরোধকারীদের লাঠিচার্জ করে হটাল নিরাপত্তাবাহিনী।
আরও পড়ুন:
দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে মণিপুরে অশান্তির আবহে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় যান চলাচল বিঘ্নিত হয়েছিল। কোনও কোনও রাস্তায় সরকারি পরিবহণ প্রায় ২২ মাস ধরে বন্ধ থেকেছে। শনিবার থেকে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। মণিপুরের প্রশাসনিক আধিকারিক সূত্রে খবর, ইম্ফল থেকে কাংপোকপি হয়ে সেনাপতি যাওয়ার রাস্তা এবং ইম্ফল থেকে বিষ্ণুপুর হয় চূড়াচাঁদপুর যাওয়ার রাস্তায় শনিবার থেকে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। রাস্তাঘাট সচল রাখতে মণিপুর পুলিশ এবং নিরাপত্তাবাহিনী যৌথ ভাবে নজরদারি চালাচ্ছে।
বিভিন্ন পথে চালু হওয়া বাসগুলিতে পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রয়োজন অনুসারে বাসগুলির সঙ্গে কনভয়ের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। শনিবার সকাল ৯টায় ইম্ফল বিমানবন্দর থেকে কাংপোকপি হয়ে সেনাপতির উদ্দেশে রওনা দেওয়া বাসটির সঙ্গে রয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর কনভয়। চূড়াচাঁদপুরগামী বাসের সঙ্গে রয়েছে সিআরপিএফ-এর কনভয়। ইম্ফল থেকে চূড়াচাঁদপুর যাওয়ার হেলিকপ্টার পরিষেবাও আগামী ১২ মার্চ থেকে শুরু হয়ে যাবে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর।