Advertisement
১৯ নভেম্বর ২০২৪
Supreme Court

আপের সুপ্রিম-ধাক্কা! দিল্লি পুরনিগমে ১০ জন সদস্যকে মনোনীত করতে পারবেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর: কোর্ট

মন্ত্রিসভার সঙ্গে পরামর্শ ছাড়া ১০ জনকে নিয়োগ করার ক্ষেত্রে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরকে যে ক্ষমতা দেওয়া আছে, তা খারিজ করার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল দিল্লি সরকার।

—প্রতীকী ছবি

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২৪ ১৭:১৬
Share: Save:

দিল্লি পুরনিগমে ১০ জন সদস্যকে মনোনীত করতে পারবেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর। এই সদস্যদের মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁকে দিল্লি সরকারের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা করতে হবে না সোমবার এই রায় ঘোষণা করল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ। এই সুপ্রিম-রায়কে দিল্লির আপ সরকারের জন্য বড় ধাক্কা বলেই মনে করা হচ্ছে।

মন্ত্রিসভার পরামর্শ, অনুমতি কিংবা অনুমোদন ছাড়া ১০ জনকে নিয়োগ করার ক্ষেত্রে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরকে যে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া আছে, তা খারিজ করার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল দিল্লির আপ সরকার। ২০২৩ সালের ১৭ মে মামলার রায়দান স্থগিত রেখেছিল শীর্ষ আদালত।

সোমবার তিন সদস্যের বেঞ্চের অন্যতম সদস্য, বিচারপতি পিএস নরসিংহ জানান, পুরনিগমে ১০ সদস্যকে মনোনীত করার বিষয়টি লেফটেন্যান্ট গভর্নরের ‘বিধিবদ্ধ দায়িত্ব’। সুপ্রিম কোর্ট এই প্রসঙ্গে ১৯৯৩ সালের দিল্লি পুরনিগম সংশোধনী আইনের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে। প্রসঙ্গত, এই আইনেই লেফটেন্যান্ট গভর্নরকে ১০ জন অল্ডারম্যান বা মনোনীত সদস্য নিয়োগ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়। এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট আগের পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল, অল্ডারম্যান নিয়োগের ক্ষমতা লেফটেন্যান্ট গভর্নরের হাতে থাকলে তা গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত পুরনিগমের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে।

দিল্লি পুরনিগমে ২৫০ জন সদস্য গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত হন। আর ১০ জন সদস্যকে মনোনীত করতে পারেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে দিল্লি পুরনিগমের নির্বাচনে আপ ১৩৪টি আসনে জয়ী হয়। বিজেপি জেতে ১০৪টি আসনে। দেড় দশক পরে বিজেপির হাত থেকে দিল্লি পুরনিগমের ক্ষমতা ছিনিয়ে নেয় অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দল। কিন্তু মন্ত্রিসভার সঙ্গে পরামর্শ না করে মনোনীত সদস্যদের নিয়োগ করার বিষয়ে আপত্তি জানায় তারা। আপের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। তিনি জানান, গত ৩০ বছর ধরে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেই মনোনীত সদস্যদের নিয়োগ করার রেওয়াজ রয়েছে। যদিও কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল সঞ্জয় জৈন পাল্টা সওয়ালে জানান, দীর্ঘ দিন ধরে কোনও কিছু হওয়া মানেই তা সঠিক হয়ে যায় না।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy