দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া করমণ্ডলের কামরাগুলি। ছবি: পিটিআই।
খড়্গপুর থেকে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন দেব নামে এক ব্যক্তি এবং তাঁর ৮ বছরের কন্যা। ট্রেনের কামরায় তাঁদের সংরক্ষিত আসন জানলার পাশে না হওয়ায় দেবের কন্যা জেদ ধরে ওই জানলার পাশের আসনেই সে বসবে।
মহা সমস্যায় পড়েন দেব। কন্যার জেদ বজায় রাখতে তাই জানলার ধারের আসনের জন্য টিকিট পরীক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। টিকিট পরীক্ষক তখন জানান, কোনও যাত্রী যদি আসন বদল করতে চান, তা হলে তিনি সেই আসনে গিয়ে কন্যাকে নিয়ে বসতে পারেন। দেব খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। তিনি যে কামরায় ছিলেন, সেখানে তেমন কাউকে না পেয়ে পরের কামরায় যান। সৌভাগ্যবশত সেই কামরার দুই যাত্রী তাঁদের সঙ্গে আসন পরিবর্তন করতে রাজি হয়ে গিয়েছিলেন।
কন্যার পছন্দমতো আসন পেয়ে খুশি হয়েছিলেন দেব। আর দেরি না করে পরের কামরায় ওই দুই যাত্রীর আসনে গিয়ে বসেন কন্যাকে নিয়ে। আর এই আসন বদলই বাবা-কন্যাকে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। আর তাই ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন দেব।
টাইমস অব ইন্ডিয়া-কে দেব বলেন, “জানলার ধারের আসন পাইনি। আমি টিকিট পরীক্ষককে অনুরোধ করি একটা ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য। তিনি পরামর্শ দেন, কেউ যদি আসন বদলাতে চান, তা হলে সেখানে গিয়ে বসতে পারেন। পাশের কামরায় গিয়েছিলাম। সেখানে দুই যাত্রী আমার কথায় রাজি হয়ে গেলেন। তাঁরা আমাদের আসনে গিয়ে বসেন। আর আমরা তাঁদের আসনে।”
যে কামরায় দেব এবং তাঁর কন্যার আসন ছিল, সেই কামরাটি একেবারে তালগোল পাকিয়ে গিয়েছে। কিন্তু যে কামরায় ওই দুই যাত্রীর আসনে গিয়ে বসেছিলেন দেবরা, সেটি পুরোপুরি অক্ষত রয়েছে। দেব যখন জানতে পারেন, যে কামরায় তাঁদের আসন সংরক্ষিত ছিল, সেটি দুমড়েমুচড়ে গিয়েছে, ওই দুই যাত্রীর কথা ভেবে শিউরে উঠেছেন তিনি। তাঁরা বেঁচে আছেন তো? ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছেন দেব, ওই দুই যাত্রী যেন অক্ষত থাকেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy