প্রেমিকাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গলায় ওরনার ফাঁস দিয়ে খুন করেন প্রেমিক। শুধু তা-ই নয় তাঁকে খুন করার পর নিজেকেও শেষ করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে, পুলিশের হাত থেকে রেহাই পাননি প্রেমিক। খুনের অভিযোগে প্রেমিককে গ্রেফতার করে হুগলি গ্রামীণ পুলিশ। রবিবার ঘটনাটি ঘটে ধনেখালি থানার বিষ্ণুপুরে। হুগলি গ্রামীণ পুলিশের একটি দল ডিভিসি খালধারে তল্লাসি চলিয়ে তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠায়। মৃতের মায়ের খুনের অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্তকে চুঁচুড়া আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার প্রেমিকা শিউলি হাঁসদা ওরফে লক্ষ্মীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান তাঁর প্রেমিক কৌশিক সর্দার। এর পর শিউলির গলায় ওরনার ফাঁস দিয়ে খুন করেন কৌশিক। পুলিশ জানিয়েছে ঠিক সময় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে না পৌঁছলে কৌশিককে ধরা যেত না। তিনি আত্মহত্যা করার চেষ্টা করছিলেন। মৃতের মা শ্রীমতী হাঁসদার খুনের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ কৌশিককে গ্রেফতার করে।
শিউলির মা পুলিশের কাছে এক পাতার লিখিত অভিযোগ পত্রে জানিয়েছেন, শিউলির সঙ্গে দু’বছরের বেশি সময় ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল কৌশিকের। রবিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ কৌশিক শিউলির বাড়িতে আসে। তার পর তাঁকে মোটর সাইকেলে চাপিয়ে পারাম্বুয়া বাজারে যাচ্ছে বলে বেরিয়ে যান। দীর্ঘ ক্ষণ শিউলির কোনও হদিস না পেয়ে ধনেখালি থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করে তাঁর মা। রাতে পুলিশ নিখোঁজের সন্ধানে নেমে ডিভিসি খালধার থেকে শিউলির দেহ উদ্ধার করে। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে কৌশিককে গ্রেফতার করা হয়। গ্রামীন পুলিশের এক আধিকারিক জানান, পুলিশ ঠিক সময়ে না পৌঁছলে অভিযুক্ত আত্মঘাতী হতেন। পুলিশের জেরায় ধৃত প্রেমিকাকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন। সোমবার অভিযুক্তকে চুঁচুড়া সিজিএম আদালতে পেশ করা হলে বিচারক অভিযুক্তকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। অভিযুক্তকে নিয়ে তদন্তকারী অফিসারেরা খুনের ঘটনার পুর্ননির্মান করবে।