(বাঁ দিক থেকে) তেজস্বী যাদব এবং লালুপ্রসাদ যাদব। —ফাইল চিত্র।
ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা ভোটের আগে আসন সমঝোতায় সন্তুষ্ট নয় আরজেডি। প্রয়োজনে ‘ইন্ডিয়া’-র বন্ধু শিবিরগুলির সঙ্গ ছাড়াই নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ার ভাবনা তাদের। আরজেডি নেতা মনোজ ঝাঁ রবিবার সেই সম্ভাবনার কথা জানিয়ে রেখেছেন।
সামনেই ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন। ১৩ এবং ২০ নভেম্বর দু’দফায় ভোটগ্রহণ। গণনা ২৩ নভেম্বর। ঝাড়খণ্ডে মোট বিধানসভা আসন রয়েছে ৮১টি। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেন জানিয়ে দিয়েছেন, ৮১টি আসনের মধ্যে ৭০টিতেই লড়বে জেএমএম এবং কংগ্রেস। বাকি ১১টি আসন তাঁরা ছেড়ে রাখছেন ‘ইন্ডিয়া’র অন্য শরিকদের জন্য। সে ক্ষেত্রে তেজস্বী যাদবের আরজেডি খুব বেশি হলে ছ’টি আসন পেতে পারে বলে অনুমান।
তবে এই ‘স্বল্প’ আসনে সন্তুষ্ট নয় আরজেডি। তাদের দাবি, ঝাড়খণ্ডে অন্তত ১৮-২০টি আসনে দলের যথেষ্ট শক্তি রয়েছে। সে ক্ষেত্রে জোটের জন্য অন্তত ১২-১৩টির কম আসন কখনও মেনে নেওয়া যায় না। রবিবার এ কথা জানিয়েছেন মনোজ। প্রয়োজনে একা লড়ার সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছেন তিনি। মনোজের কথায়, “বিজেপিকে পরাস্ত করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। ‘ইন্ডিয়া’-য় আমাদের জন্য কোনও অন্তর্ঘাত হবে না। যদি আমরা ঝাড়খণ্ডের ভোটে একাও লড়ি, তা-ও ‘ইন্ডিয়া’ শিবিরের প্রার্থীদের জন্য ৬০-৬২টি আসন ছেড়ে রাখব।”
এর আগেও ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনে লড়েছে লালুপ্রসাদের দল। তবে ইভিএমে সেই অর্থে সাফল্য মেলেনি। ২০১৯ সালের বিধানসভা ভোটে সাতটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল লালুপ্রসাদের দল। জিতেছিল মাত্র একটি। এর আগে ২০১৪ সালের ভোটেও ১৯টি আসনে লড়েছিল বিজেপি। কিন্তু একটিতেও জিততে পারেনি। তারও আগের বারের ভোটে ৫৬টি আসনে প্রার্থী দিয়ে জিতেছিল পাঁচটি আসন।
যদিও কতগুলি আসন শেষ পর্যন্ত ছাড়া হবে আরজেডিকে, সে বিষয়ে নিশ্চিত করে এখনও কিছু জানাননি হেমন্ত সোরেন। তবে কংগ্রেস ও জেএমএম মিলিত ভাবে ৭০ আসনে লড়বে বলে জানিয়েছেন তিনি। সে ক্ষেত্রে সিপিআই(এমএল)-কে পাঁচটি আসন এবং আরজেডিকে ছ’টি আসন ছাড়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy