— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ছেলেমেয়েকে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রৌঢ়ার থেকে প্রায় এক কোটি টাকা নিয়েছিলেন এক পুলিশকর্মী! অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই বরখাস্ত করা হল ওই কর্মীকে। সম্প্রতি বেঙ্গালুরুতে ঘটনাটি ঘটেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত যুবক বেঙ্গালুরুর সিটি আর্মড রিজার্ভ (সিএআর) পুলিশের হেড কনস্টেবল। গত ২১ সেপ্টেম্বর তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ আনেন অন্নপূর্ণেশ্বরী নগরের বাসিন্দা এক প্রৌঢ়া। প্রৌঢ়ার দাবি, তাঁর ছেলেমেয়েকে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত দফায় দফায় তাঁর থেকে প্রায় এক কোটি টাকা নিয়েছিলেন ওই কনস্টেবল। প্রৌঢ়ার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই যুবক ও তাঁর দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
অভিযুক্ত যুবক বেঙ্গালুরু পুলিশের এডিজিপি উমেশ কুমারের ড্রাইভার হিসাবেও কাজ করতেন। তিনি ওই প্রৌঢ়ার কাছে দাবি করেছিলেন, তিনি কর্নাটক পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (কেপিএসসি) আধিকারিকদের চেনেন। এর পরেই প্রৌঢ়ার ৩৬ এবং ৩০ বছর বয়সী দুই সন্তানকে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তাঁর থেকে টাকা চান অভিযুক্ত। প্রাথমিক ভাবে ওই যুবকের কথা মতো তাঁকে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকার সোনার গহনা দেন প্রৌঢ়া। অভিযোগ, এর পর দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে দফায় দফায় ওই কনস্টেবলকে ৪২ লক্ষ টাকা দিয়েছেন তিনি।
চলতি বছরের জুন মাসেও প্রৌঢ়ার বাড়ি এসে পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন ওই কনস্টেবল। কিন্তু কেপিএসসির নিয়োগের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশের পর দেখা যায়, তাতে প্রৌঢ়ার ছেলেমেয়ের নাম নেই। এর পরেই ওই কনস্টেবলের কাছে টাকা ফেরত চান প্রৌঢ়া। অভিযোগ, তখন তাঁর হাতে ৫৮ লক্ষ টাকার একটি চেক ধরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ব্যাঙ্কে গেলে জানা যায়, চেকটি বাউন্স করেছে। তখনই বুঝতে পারেন, এত বছর ধরে প্রতারিত হয়েছেন তিনি। এর পরেই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই প্রৌঢ়া।
প্রৌঢ়ার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত কনস্টেবলকে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড (নিলম্বিত) করা হয়েছে। মূল অভিযুক্তের দুই সহকর্মীর খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy