অক্ষয়তৃতীয়ায় সোনা কেনার হিড়িক! অলঙ্কারের পাশাপাশি দেদার বিক্রি হচ্ছে কাগুজে হলুদ ধাতু। বুধবার, ৩০ এপ্রিল, এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল (ডব্লিউজিসি)। সেখানে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে (জানুয়ারি থেকে মার্চ) সর্বাধিক সোনার লেনদেন দেখেছে গোল্ড এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ)। উল্লেখ্য, এখান থেকে কাগুজে হলুদ ধাতু কিনে থাকেন লগ্নিকারীরা।
বিশ্লেষকদের দাবি, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নানা অস্থিরতার কারণে গত কয়েক বছর ধরেই লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে সোনার দাম। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে চাহিদাও। কারণ, হলুদ ধাতুতে বিনিয়োগ সব সময় নিরাপদ বলে মনে করে থাকেন লগ্নিকারীরা। ডব্লিউজিসির রিপোর্ট অনুযায়ী, এ বছরের প্রথম তিন মাসে বিশ্বব্যাপী সোনায় লগ্নি ৫৫২ টনে গিয়ে পৌঁছেছে। জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে গোল্ড ইটিএফ বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে ২২৬ টন।
ভারতের ক্ষেত্রেও কাগুজে হলুদ ধাতু কেনার ক্ষেত্রে এখনও কোনও ভাটা পড়েনি। ব্রোকারেজ ফার্মগুলির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে গোল্ড এটিএফের মাধ্যমে ঘরোয়া বাজারে হলুদ ধাতু বিক্রির পরিমাণ ছিল ২১ টন। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত অঙ্ক বেড়ে ৬৩ টনে গিয়ে পৌঁছেছে।
বিশ্লেষকদের দাবি, ২০২০ সালের মার্চ থেকে এ বছরের মার্চের মধ্যে ভারতে গোল্ড ইটিএফ কেনার পরিমাণ প্রায় ১৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কাগুজে সোনায় লগ্নির ব্যাপারে আমজনতার উৎসাহ যে বাড়ছে, এই পরিসংখ্যানেই মিলছে তার প্রমাণ। বর্তমানে রেকর্ড উচ্চতায় উঠে ১০ গ্রাম সোনার দাম এক লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। আর তাই গত বছরের চেয়ে গোল্ড ইটিএফে বেশি পরিমাণ রিটার্ন পেয়েছেন লগ্নিকারীরা।
ব্রোকারেজ ফার্মগুলির দাবি, এ বছর এখনও পর্যন্ত সোনার ইটিএফ থেকে রিটার্ন মিলছে ২৫.০৭ শতাংশ। এই বিভাগে প্রায় ১৭টি প্রকল্প রয়েছে। সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানের সঙ্গে তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে বার্ষিক রিটার্নের নিরিখে এটি নিফটি-৫০র ইটিএফকে ছাপিয়ে গিয়েছে।