আরজেডি এখন বিহারে সংখ্যাগরিষ্ঠ।
মহারাষ্ট্রে পালাবদলের আবহে বিহারে আচমকাই রাজনৈতিক সমীকরণ বদলে গেল। বিধায়ক সংখ্যার নিরিখে প্রধান বিরোধী দল আরজেডি (রাষ্ট্রীয় জনতা দল) হঠাৎ করেই ফের এক নম্বরে চলে এসেছে। সংখ্যার হিসাবে তাদের সঙ্গে এই মুহূর্তে ৮০ জন বিধায়ক। সৌজন্যে আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল এআইএমআইএম (অল ইন্ডিয়া মজলিশ এ ইত্তেহাদুল মুসলিমিন)। বুধবার ওয়েইসির দলের চার বিধায়ক আরজেডি-তে যোগ দিয়েছেন। লালুপ্রসাদের দল আরজেডির হাতে সর্বোচ্চ বিধায়ক হওয়ার ফলে ফের জল্পনার কেন্দ্রে বিহার।
২০১৫ সালে লালুর দলের সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গড়েন নীতিশ কুমার। তিনিই মুখ্যমন্ত্রী হন। কিন্তু বছর দুয়েক যেতে না যেতেই ২০১৭ সালে আরজেডির হাত ছাড়েন নীতীশ কুমার। জোট বাঁধেন বিজেপির সঙ্গে। ২০২০ সালে ফের এনডিএ ক্ষমতায় এলেও আসনের নিরিখে জেডিইউ ছিল তিন নম্বরে। তখন যদিও এক নম্বরে ছিল আরজেডি। পরে কমে যায় তাদের বিধায়ক সংখ্যা। আর বিজেপির ছিল ৭৪টি আসন। তাই মাত্র ৪৫টি আসন পেয়েও বিজেপি-সহ অন্যদের সঙ্গে জোটের কারণে মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেন নীতীশ।
জাতীয় স্তরে জল্পনা, গত কয়েক মাস ধরে জোটশরিক বিজেপির সঙ্গে নীতীশের দূরত্ব বেড়েছে। জাতিভিত্তিক জনগণনা-সহ বেশি কিছু ইস্যুতে বিহার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা লালু-পুত্র তেজস্বী যাদবকে সমর্থন করেছেন। এ বার সেই তেজস্বীর সঙ্গেই ৮০ জন বিধায়ক। জল্পনা তৈরি হয়েছে, ৪৫ জন বিধায়ক নিয়ে আরজেডির সঙ্গে নীতীশ জোট বাঁধবেন না তো! নীতীশের রাজনৈতিক ‘কৌশল’ নিয়ে ওয়াকিবহাল মহল কিন্তু সে সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দিতে নারাজ।
বিধায়কদের সংখ্যা সম্প্রতি বিজেপিতেও বেড়েছে। মুকেশ সহানি রাজ্যের মন্ত্রীর পদ থেকে বহিষ্কৃত হন। এর পর তাঁর দল বিকাশশীল ইনসান পার্টির তিন বিধায়ক যোগ দেন বিজেপিতে। এখন বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৭৭। এই পরিসংখ্যান ঝড় তুলতে পারে বিহারের রাজ্য রাজনীতিতে। বার্তা দিয়ে রেখেছেন তেজস্বীও। তিনি বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘আমি চাই সব ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি একজোট হোক। আমাদের জন্যই বিহারে বিজেপি কখনও একা লড়তে পারেনি।’’
রাজনৈতিক শিবিরের চোখ এখন নীতীশ কুমারের দিকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy