মহারাষ্ট্রে বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের সঙ্গে দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। ছবি: পিটিআই।
অশোক গহলৌত-সচিন পাইলটের যুগলবন্দি রাজস্থানে জয় এনে দিলেও অন্য তিন রাজ্যে রাজ্যসভা ভোটে বিজেপির কাছে ধাক্কা খেল কংগ্রেস এবং তার সহযোগীরা। কর্নাটকে কংগ্রেস-জেডি(এস) ভোট কাটাকাটির জেরে হেরেছেন শিবসেনা প্রার্থী। হরিয়ানায় কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্বের সুযোগে অজয় মাকেনকে হারিয়ে দিয়েছেন বিজেপি সমর্থিত নির্দল। এমনকি, মহারাষ্ট্রে শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোটকে টেক্কা দিয়ে ছ’টি আসনের মধ্যে তিনটি জিতে নিয়েছে বিজেপি।
বিজেপি এবং বিরোধীদের মতবিরোধের জেরে শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় গণনা স্থগিত ছিল। পরিষদীয় পাটিগণিতের হিসেবে মহারাষ্ট্রে শিবসেনার সঞ্জয় রাউত, এনসিপির প্রফুল পটেল এবং কংগ্রেসের ইমরান প্রতাপগড়ির জয় নিশ্চিত ছিল। জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যা ছিল বিজেপির পীযূষ গয়াল এবং অনিল বোন্দেরও। ষষ্ঠ আসনের লড়াইয়ে শিবসেনার সঞ্জয় পওয়ারকে হারিয়ে দিয়েছেন বিজেপির ধনঞ্জয় মহাদিক।
বিধি ভাঙার অভিযোগে শিবসেনার তরফে দুই বিজেপি বিধায়কের ভোট বাতিলের দাবি করা হলেও কমিশন তা খারিজ করে দেয়। তা ছাড়া, কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে গ্রেফতার দুই এনসিপি বিধায়ক নবাব মালিক এবং অনিল দেশমুখ ভোট দিতে না পারায় সুবিধা হয় বিজেপির। রাজ্যসভা ভোটে শিবসেনা প্রার্থীর পরাজয় মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধবের কাছে বড় ধাক্কা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
হরিয়ানায় অবশ্য বিজেপির দাবি মেনে বিধি ভাঙার অভিযোগে এক কংগ্রেস বিধায়কের ভোট খারিজ করে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি ক্রস ভোটিং করেন কংগ্রেস বিধায়ক কুলদীপ বিশনই। ফলে বিজেপির কিষেণলাল পনওয়ারের পাশাপাশি বিজেপি সমর্থিত নির্দল কার্তিকেয় শর্মাও জয়ী হয়েছেন। হেরে গিয়েছেন কংগ্রেসে অজয় মাকেন। হরিয়ানার পরিষদীয় পাটিগণিতের হিসেবে জেতার জন্য অন্তত ৩১টি ভোট প্রয়োজন। প্রধান বিরোধী কংগ্রেসের রয়েছে ৩১ জন বিধায়ক। কংগ্রেসের ‘ঘর’ ভাঙিয়ে জেতার জন্য মডেল জেসিকা লাল খুনের মামলার সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী মনু শর্মার ভাই কার্তিকেয়কে দাঁড় করিয়েছিল বিজেপি।
সূত্রের খবর, প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভজনলালের ছেলে কুলদীপ হরিয়ানা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার দৌড়ে ছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিংহ হুডার অনুগামী উদয়ভানকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। সে কারণেই ক্ষুব্ধ কুলদীপের প্রত্যাঘাত। প্রসঙ্গত, হুডার সঙ্গে মতবিরোধের কারণে ২০১১ সালে কংগ্রেস ছেড়ে নতুন দল গড়েছিলেন কুলদীপ। কিন্তু ২০১৬-য় রাহুল গাঁধীর উদ্যোগে দলে ফেরেন তিনি।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy