হাত-পা পিছমোড়া করে বাইকের সঙ্গে বেঁধে হিড়হিড় করে এক মহিলাকে রাস্তা দিয়ে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন এক যুবক। বাঁচাও, বাঁচাও বলে চিৎকার করছেন মহিলা। যত চিৎকার করছিলেন, বাইকের গতি ততই বাড়ছিল। পাথুরে রাস্তার উপর দিয়ে মহিলাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন যুবক। বেশ কয়েক পাক চালানোর পর মহিলা বাইক থামিয়ে যুবক নামেন। তার পর শুরু হয় মারধর। মহিলার শরীরের উপর উঠে দাঁড়িয়ে পড়েন। এমনই একটি শিউরে ওঠা দৃশ্য প্রকাশ্যে এসেছে রাজস্থানে।

স্থানীয় বেশ কয়েকটি সূত্রের খবর, প্রেমকুমার মেঘওয়াল। যে মহিলাকে বাইকের পিছনে বেঁধে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তিনি প্রেমকুমারের স্ত্রী। মহিলা তাঁর বোনের বাড়িতে যাওয়ার জন্য আবদার করেছিলেন। অভিযোগ, সেই আবদারের কথা শুনতেই মেজাজ হারান প্রেমকুমার। তার পরই স্ত্রীকে ‘শাস্তি’ দিতে তাঁর হা-পা পিছমোড়া করে বাইকের পিছনে বাঁধেন। তার পর পাথুরে রাস্তা দিয়ে টানতে টানতে নিয়ে যান।

ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে তৎপর হয় পুলিশ। ভিডিয়োটি খতিয়ে দেখে এলাকা চিহ্নিত করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে তারা। অভিযুক্তকে জেরা করে এই ঘটনার কারণ খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রেমকুমার বেকার। মাদকাসক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। নাগাউরের পুলিশ সুপার নারায়ণ তোগাস এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রেমকুমারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, বোনের বাড়ি যাওয়া নিয়ে স্বামীর সঙ্গে বচনা হয়েছিল মহিলার। তার পরই তাঁর উপর হামলা চালান প্রেমকুমার।