— ফাইল চিত্র।
নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ গ্রামেরই চার যুবকের বিরুদ্ধে। ‘বিচার’ চেয়ে পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হন নির্ষাতিতার মা। সালিশি সভা রায় দেয়, দু’হাজার টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মিটমাট করে নিতে হবে। এর পরেই পুলিশের দ্বারস্থ হন নির্ষাতিতার মা। চার অভিযুক্তকে খুঁজছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি বিহারের দ্বারভাঙার। বিষয়টি জানাজানি হতে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।
নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ, সালিশি সভায় তাঁর মেয়েকে বলা হয়, দু’হাজার টাকা নিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে। স্বাভাভিক ভাবেই এই প্রস্তাবে রাজি হননি তাঁরা। শেষমেশ পুলিশের দ্বারস্থ হন। এখানেই শেষ নয়, মহিলা জানাচ্ছেন, থানায় অভিযোগ জানানোর খবর পেয়ে তাঁকে ও তাঁর মেয়েকে আটকে রেখেছিলেন গ্রামের হোমড়া চোমড়ারা। তিন দিন বন্দি ছিলেন তাঁরা। মহিলার অভিযোগ, পুলিশ খবর পেয়েও কিছু করেনি। তিন দিন পর ছাড়া পেলে নাবালিকাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
কিন্তু সেখানেও অপেক্ষা করে ছিল আর এক প্রস্ত ঝঞ্ঝাট। পরীক্ষার আগে হাসপাতালের চিকিৎসক বসন্ত কুমার ঝা প্রথমেই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চান। এতে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়ে যায়। শেষমেশ অবশ্য টনক নড়েছে পুলিশের। পুলিশের তত্ত্বাবধানে নাবালিকাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে গত ৩ অগস্ট। পরদিনই বিচার চেয়ে পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হয় নির্যাতিতার পরিবার। সেখানে সুরাহা না পেয়ে ৭ অগস্ট বাদগাঁও থানায় চার যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এর পর বিভিন্ন মহল থেকে দীর্ঘ অসহযোগিতার পর ৯ অগস্ট ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই নাবালিকাকে। সেখানেও চিকিৎসকের গাফিলতির কারণে চার দিন ধরে ডাক্তারি পরীক্ষার পর শেষমেশ ১২ তারিখ আদালতে নির্যাতিতার জবানবন্দি রেকর্ড হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা যথেষ্ট প্রভাবশালী। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে মুখে কুলুপ এঁটেছেন স্থানীয়েরাও।
স্থানীয় থানার অফিসার ইন-চার্জ কল্পনা কুমারী বলেছেন, ‘‘নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে চার জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তাঁদের খুঁজছে পুলিশ।’’ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, পুলিশের টালবাহানাতেই নির্ষাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষায় এত দেরি হল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy