১৫০ টাকা ঘুষ নেওয়ার অপরাধে অবসরপ্রাপ্ত কেরানিকে তিন মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল নিম্ন আদালত। —প্রতীকী চিত্র।
পরিষেবা চাইতেই ১৫০ টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন সরকারি অফিসের এক কেরানি। এই অভিযোগে ৪৪ বছর ধরে সেই মামলা চলছিল আদালতে। অবশেষে অবসরপ্রাপ্ত কেরানিকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দিল রাজস্থান হাই কোর্ট। বিচারপতি নরেন্দ্র সিংহ ধাব্বার একক বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ১৫০ টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেছেন অভিযোগকারী। কিন্তু সেটা যে ঘুষ, তা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। ওই অবসরপ্রাপ্ত কেরানিকে ৩ মাসের কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু হাই কোর্ট তা খারিজ করেছে। পাশাপাশি, ওই মামলা থেকে তাঁকে নিষ্কৃতি দেওয়া হয়েছে।
ঘটনাটি ১৯৭৯ সালের মে মাসের। অভিযোগকারীর দাবি, তিনি একটি ট্র্যাক্টর কিনেছিলেন। কিন্তু তার রেজিস্ট্রেশন ছিল বাবার নামে। সেই সমস্যা দূর করতে পরিবহণ দফতরের একটি অফিসে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর সমস্যা শোনার পরই ১৫০ টাকা ঘুষ চাওয়া হয়। সেখানে এক কেরানি জানান, তাঁকে এবং তাঁর দুই সঙ্গীকে প্রত্যেককে ৫০ টাকা করে দিতে হবে।
এর পর থানায় অভিযোগ করেন ওই ব্যক্তি। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই কেরানির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। ১৯৮৫ সালে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়। দীর্ঘ বছর সেই মামলা চলার পর নিম্ন আদালত থেকে কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতে যান অভিযুক্ত। সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানিতে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, অভিযোগকারী বাকি দুই অভিযুক্তের নাম সন্তর্পণে এড়িয়ে গিয়েছেন। কেন তিনি এক জনের বিরুদ্ধেই অভিযোগ করছেন, সেই প্রশ্ন ওঠে। পাশাপাশি ঘুষ নেওয়ার প্রমাণও দিতে পারেননি অভিযোগকারী। এর পরই নিম্ন আদালতের রায়কে খারিজ করে দেয় হাই কোর্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy