ছ’মাসের মধ্যেই ৫৬ ইঞ্চি বুকের ছাতি কমে দাঁড়াবে ৫.৬ ইঞ্চিতে।
রাজস্থানের দলীয় সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশে সরাসরি এই চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন রাহুল গাঁধী। এ দিনই জম্মুতে এক অনুষ্ঠানে রবার্ট বঢ়রার নাম না নিয়ে তাঁকে ‘রাজনৈতিক জামাই’ বলে প্রধানমন্ত্রী কটাক্ষ করেন। এক ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টা হুঙ্কার ছাড়েন রাহুল।
সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের অধিবেশন। কংগ্রেস-বিজেপি দু’পক্ষের কেউই যে কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না এ দিন মোদী এবং রাহুল দু’জনের কথা থেকেই তা স্পষ্ট। গত লোকসভা ভোটের সময়ে উত্তর প্রদেশে সমাজবাদী পার্টির প্রধান মুলায়ম সিংহকে টক্কর দিতে গিয়ে মোদী তাঁর ৫৬ ইঞ্চি ছাতির কথা বড় মুখ করে বলেছিলেন। সেই প্রসঙ্গ মাথায় রেখেই রাজস্থানে রাহুল এক দলীয় সভায় তিনি বলেন, ‘‘আগামী ছ’মাসের মধ্যেই নরেন্দ্র মোদীর ৫৬ ইঞ্চি ছাতি কমে দাঁড়াবে ৫.৬ ইঞ্চিতে।’’
রাহুলের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপিও থেমে নেই। দলের মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বলেছেন, ‘‘যাঁদের দৃষ্টিশক্তি ৫.৬ মিমি। তাঁরা আর তার বেশি কী করে দেখবেন!’’
রাহুল বিজেপি শাসিত রাজস্থান সফরে এসেছেন। ললিত মোদীর প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘‘বসুন্ধরা রাজে দেশ থেকে পলাতক এক অপরাধীকে সাহায্য করে আইন ভেঙেছেন। এই সরকার আসলে লন্ডনে বসে রিমোট কন্ট্রোলে ললিত মোদী চালাচ্ছেন। ললিত যেমন বোতাম টেপেন সুষমা তেমনই নাচেন।’’ ললিত মোদীকে অবিলম্বে দেশে ফেরানোর দাবি তুলে রাহুল বলেন, ‘‘রাজে এবং সুষমা দু’জনকেই মন্ত্রী পদ ছাড়তে হবে।’’
এর আগে এ দিন সকালে কংগ্রেসের প্রাক্তন মন্ত্রী গিরিধারিলাল ডোগরার শতবর্ষ উপলক্ষে এ দিন জন্মুতে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। ডোগরা সম্পর্কে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির শ্বশুর। প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা হিসেবে স্বচ্ছ মানুষ ডোগরার উদাহরণ তুলে ধরে মোদী বলেন, ‘‘তিনি যে কখনওই রাজনীতিকে পরিবারের মধ্যে টেনে আনেননি তার উদাহরণ জামাই অরুণ জেটলি। শ্বশুর-জামাই কেউই কারোর পরিচয়ে পরিচিত হননি। রাজনীতিতে কিছু নেতার জামাই কুটুম্বিতার ফায়দা না তুলেও স্বমহিমায় বহাল থেকেছেন। কিন্তু এখনকার ‘রাজনৈতিক জামাই’রা কেমন তা আমরা সকলেই জানি।’’
হরিয়ানা ও রাজস্থানে বঢ়রার বিতর্কিত জমি চুক্তি গত লোকসভার আগে থেকেই বিজেপি প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার করেছে। এখনও যে বিজেপি এই অভিযোগ নিয়ে সমানে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে এ দিন প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যে তা স্পষ্ট। সংসদের আসন্ন অধিবেশনে কংগ্রেস রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া, বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এবং মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ পাটিলের ইস্তফা দাবি তুলবে। জবাবে বিজেপি পক্ষ থেকেও বঢ়রা প্রসঙ্গ তোলা হতে পারে এ দিন মোদীর কথায় কি তার-ই ইঙ্গিত?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy