রাহুল গাঁধী ফাইল চিত্র।
একশো দিনের কাজ থেকে তথ্যের অধিকার আইনের মতো ইউপিএ সরকারের কাজে সনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে নাগরিক সংগঠন, বিভিন্ন এনজিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল। আবার অণ্ণা হজারের নেতৃত্বে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সেই নাগরিক সংগঠনগুলির আন্দোলনই ইউপিএ সরকারের পতন ডেকে এনেছিল। রাহুল গান্ধী আজ তাঁর ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রায় নাগরিক সংগঠনগুলিরই সাহায্য চাইলেন।
৭ সেপ্টেম্বরের ৭-এ কন্যাকুমারী থেকে ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রা শুরু হচ্ছে। রাহুল আজ দিল্লিতে দেড়শোর বেশি নাগরিক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করে তাঁদের সাহায্য চেয়ে বলেছেন, “আমার সঙ্গে কেউ চলুক না চলুক, আমি একলাই চলব।” কিন্তু অশোক গহলৌত মনে করিয়ে দিয়েছেন, রাহুল সভাপতি হতে রাজি না হলে অনেক নেতা-কর্মী বসে যাবেন।
সূ্ত্রের খবর, রাহুল অরাজি হলে সনিয়াকে সভানেত্রী পদে ২০২৪ পর্যন্ত রেখে দেওয়ার চেষ্টা হবে। রোজের কাজকর্ম দেখাশোনা করতে দু’জন কার্যকরী সভাপতি নিয়োগ করা হবে। রাহুল চান না, সনিয়া বা প্রিয়ঙ্কা সভানেত্রী হোন। গহলৌতের বক্তব্য, “এটা গান্ধী বা পরিবারের প্রশ্ন নয়। এটা সংগঠনের বিষয়। কেউ এখানে প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন না। রাহুলের উচিত সভাপতির পদ গ্রহণ করা।”
কংগ্রেস সূত্রের খবর, চার-পাঁচ দিনের মধ্যে সভাপতি নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা হবে। নিজে সভাপতি না হয়ে রাহুল অনুগত কাউকে বসাতে চাইলে দলের বিক্ষুব্ধ নেতারা তাঁকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন। আজ আনন্দ শর্মা বলেছেন, কংগ্রেসকে গান্ধী পরিবারের বাইরে বেরিয়ে ভাবতে হবে। ইন্দিরা গান্ধীকে দল থেকে বহিষ্কার করার পরেও কংগ্রেস নেতারা দলকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। শুধু রাহুল বা প্রিয়ঙ্কার নামে আলোচনা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শর্মা বলেন, ‘‘কংগ্রেস কি শুধু দু’টি নামের মধ্যে সীমাবদ্ধ? কংগ্রেসের ইতিহাসকে উপহাস করছি না?’’ শর্মা রবিবার হিমাচলের ভোটের স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। আজ এআইসিসি-তে হিমাচলের ভারপ্রাপ্ত নেতা রাজীব শুক্ল শর্মার সঙ্গে দেখা করে দাবি করেন, কোনও সমস্যা নেই।
সূত্রের খবর, রাহুল দলের সভাপতি নির্বাচনের পুরো সময়টাই দিল্লির বাইরে ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রায় থাকতে চাইছেন। ৭ সেপ্টেম্বর কন্যাকুমারী থেকে যাত্রা শুরুর আগে রাহুল শ্রীপেরাম্বুদুরে রাজীব গান্ধীর স্মৃতিস্থলে গিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy