হাথরসে নির্যাতিতার বাড়িতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র।
তাঁদের মেয়েকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ যে চার জনের বিরুদ্ধে, তাদের মধ্যে তিন জনই ছাড়া পেয়ে গিয়েছে। আর তাঁরা, হাথরসের নির্যাতিতার আপনজনেরা দিন কাটাচ্ছেন কার্যত গৃহবন্দি হয়ে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে লেখা চিঠিতে এই অভিযোগ তুলে সুবিচার চেয়েছিলেন মেয়েটির বাবা। সেই চিঠি পেয়ে লোকসভার বিরোধী দলনেতা আজ হাথরসে মেয়েটির বাড়িতে যান। পরিবারটির সঙ্গে কথা বলার পরে এক্স হ্যান্ডলে রাহুল লেখেন, ‘আমি বিচলিত। এখনও পরিবারটির দিন কাটছে ভয়ে। অপরাধীদের মতো আচরণ করা হচ্ছে তাঁদের সঙ্গে। স্বাধীন ভাবে ঘোরাফেরার উপায় নেই, বন্দুক আর ক্যামেরার নজরদারিতে রাখা হয়েছে।’ স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, যোগী আদিত্যনাথের সরকার কোনও প্রতিশ্রুতিই পালন করেনি বলে রাহুলকে জানিয়েছে পরিবারটি।
২০২০ সালে দলিত মেয়েটির ধর্ষণ-খুন ঘিরে উত্তাল হয়েছিল দেশ। তড়িঘড়ি মৃতদেহ সৎকারের অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। এ দিন সকাল সাড়ে ১১টায় হাথরস পৌঁছে প্রায় ৩৫ মিনিট ধরে মেয়েটির পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন রাহুল। তিনি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা না বললেও পরে নির্যাতিতার বাবা অভিযোগ তোলেন, বাড়ির বাইরে মোতায়েন নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁদের কোথাও বেরোতে দেন না। বাচ্চারা পড়তে যেতে পারে না। সরকারি চাকরি মেলেনি। ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাওয়া ২৫ লক্ষ টাকা ফুরোচ্ছে। সরকারের তরফে নতুন বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও এখনকার বাড়িটি ছেড়ে দিতে হবে বলে শর্ত চাপানো হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে ভবিষ্যৎ নিয়ে তাঁরা চিন্তায়। রাহুলের অভিযোগ, বিজেপির জমানায় দলিতেরা কী ভাবে অত্যাচারিত হচ্ছেন, এতেই তা স্পষ্ট। এই সফর নিয়ে রাহুলকে আক্রমণ করে উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক বলেছেন, “উনি মামলা সম্পর্কে জানেনই না। সিবিআই তদন্ত করেছে। সম্ভল হোক বা হাথরস, তিনি যান শুধু প্রচারের জন্যই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy